ঢাকা: দলীয় ও ব্যক্তিগত ৪ রানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। কিন্তু সেটি ফসকে যায় মারলন স্যামুয়েলসের হাত থেকে।
চার রানে প্যাভিলিয়নে ফেরার কথা যে গাপটিলের, সেই গাপটিল প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলোধুনো করে হাঁকিয়ে নিলেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথমে ১১১ বলে সেঞ্চুরি করলেও পরে উইন্ডিজের বোলারদের রীতিমত কচুকাটা করেছেন তিনি।
শনিবার (২১ মার্চ) ওয়েলিংটনে শুরু হওয়া চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন নিউজিল্যান্ড দলপতি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও গাপটিল। খেলতে নেমে জেরমি টেইলরের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই চার হাঁকালেও তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন গাপটিল। কিন্তু সেই বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা স্যামুয়েলস।
তারপর কেবলই গাপটিলের অনবদ্য রচনা। স্যামুয়েলসের কপালের ভাঁজ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করে ক্যারিয়ারের সপ্তম ও টানা দ্বিতীয় শতকের পর উইন্ডিজ বোলারদের নির্বিচারে পেটাতে থাকেন তিনি। ১১১ বলে শতক পূরণ করার পরবর্তী ২৩ বলে দেড়শতকে পৌঁছে যান তিনি। আর মাঠের চারদিকে বাউন্ডারি-ওভার ভাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন গাপটিল। সবশেষ ৫২ বলে ১৩৭ রান আসে ‘খুনে’ মেজাজের এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে।
৫০ ওভার শেষে গাপটিলের নামের পাশে ১১ ছক্কা ও ২৪ চারের মারে ১৬৩ বলে অপরাজিত ২৩৭ রানের ইনিংস ঝলমল করলেও কিউই সমর্থকরা আক্ষেপ করতেই পারেন, আসলে কি আজ থামানো যেত গাপটিলকে? কোথায়-ইবা থামতেন তিনি?
গাপটিলের এই রান সবদিক বিবেচনায় বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এর আগে, নকআউটে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৯ করেছিলেন গিলি। আর এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেন উইন্ডিজ ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ১৪৭ বলে ২১৫ রান করেন তিনি।
একদিনের আন্তজর্জাতিক ক্রিকেটের (ওয়ানডে) ইতিহাসে গাপটিলের এই ডাবল ষষ্ঠতম। এ কীর্তি গড়ার নজির দু’বার রয়েছে রয়েছে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার। একবার করে গড়েছেন লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দর শেহওয়াগও।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫/আপডেট ১১১৯ ঘণ্টা