ঢাকা: বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে রোববার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ২৪ জানুয়ারি দেশ ছাড়ে টাইগাররা।
বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা ১৫ বীর সেনানীর একজন আরাফাত সানি। মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ মিললেও তাতেই তৃপ্ত এই বাঁহাতি স্পিনার। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে বধ করার ম্যাচে ছিলেন টাইগার একাদশে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পেস কন্ডিশনে স্পিনারদের দাপট কম বলেই হয়তো আক্ষেপ নেই সানির কন্ঠে! বরং দলের সাফল্য নিয়েই বেশি উচ্ছ্বসিত এই ক্রিকেটার।
বাংলানিউজকে আরাফাত সানি বলেন, ‘বিশ্বকাপ টূর্নামেন্টটা আমরা খুব ভালোভাবে শেষ করেছি। আমরা টিম ওয়াইজ পারফর্ম করেছি। এটা আমাদের জন্য ভালো একটি দিক। এভাবে যদি আমরা ধাপে ধাপে এগুতে থাকি, ইনশাল্লাহ আগামিতে ভালো কিছু হবে। ’
দলের প্রাপ্তি নিয়ে সানি যোগ করেন, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমাদের টিম কম্বিনেশনটা দারুণভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। যে কোনো দলকে হারাতে পারি-এই আত্নবিশ্বাস কাজ করছে সবার মাঝে। ’
প্রায় দুই মাস পর দেশে ফেরার অনুভূতি জানতে চাইলে এই বাঁহাতি স্পিনার জানান, ‘দেশে ফেরার পর খুব ভালো লাগছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। অস্ট্রেলিয়াতে থাকাকালীন নিয়মিতই ফ্যামিলির সাথে যোগাযোগ হতো। তারপরও দেশে ফেরার আনন্দ অন্যরকম। ’
খেলার বাইরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে সময়গুলো কেমন কেটেছে- প্রশ্নের জবাবে আরাফাত সানি বলেন, ‘খুব ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা। অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলো খুব সুন্দর। বিশ্বের সেরা ১০টি শহরের মধ্যে দুইটি অস্ট্রেলিয়ায়। নিউজিল্যান্ডও অনেক সুন্দর। যদিও বেশি ঘুরে দেখতে পারিনি। লাঞ্চ এবং ডিনারে যাওয়ার সময় যতটুকু দেখা যায়। যেহুতু বিশ্বকাপের জন্য যাওয়া; আমাদের ফোকাসটা খেলার মাঝেই ছিল। ’
আগামি এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজ। কিছু দিনের বিশ্রাম কাটিয়ে আবারো মাঠে নামতে হবে ব্যাট-বল হাতে নিয়ে। জাতীয় দলে টিকে থাকার পরীক্ষা দিতে হবে ক্রিকেটারদের। সেটা মাথায়-ই আছে আরাফাত সানির। ‘ন্যাশনাল টিমে থাকা সবসময়ই চ্যালেজ্ঞের। এটা নির্ভর করে পারফরম্যান্সের ওপর। ভালো করলে অবশ্যই দলে থাকবো। এটা নিয়ে তেমন চিন্তা করি না। সবসময়ই চিন্তা থাকে বেটার ক্রিকেট খেলার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ ২০১৫