ঢাকা: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতেছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডে বিসিবি নর্থ জোনকে তিন উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিসিবি ওয়ানডে ভার্সনের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচে মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরি ও নাসির হোসেনের ৯৬ রানের ইনিংসে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯১ রান তোলে বিসিবি নর্থ জোন। বড় টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ জবাব দিতে থাকে ইসলামী ব্যাংক। দুই উইকেটে ১৩১ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থামার পর মুমিনুল হকের দলের নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৭৮ রান।
দলের স্কোর ১৮৬ তে পৌঁছাতে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপদে পড়ে ইসলামী ব্যাংক। মুমিনুল হকের বিদায়ের (৭৮) পর মূলত ম্যাচে নিয়ন্ত্রন নেয় নর্থ জোন।
সপ্তম উইকেটে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে আসিফ আহমেদ ও আবুল হাসান ৫৫ রানের জুটি বেঁধে দলকে ম্যাচে ফেরান। দলীয় ২৪১ রানে আসিফকে ফিরিয়ে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫২ বলে ৪৬ রান করে সানজামুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন আসিফ আহমেদ। ম্যাচের সমীকরণ আবারও পাল্টে যায়।
সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে জুটিতে আরাফাত সানি ও আবুল হাসানের টর্নেডোতে এক ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় ইসলামী ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭৮ রান ছাড়াও লিটন কুমার করেন ৫০ রান। আবুল হাসান ৩৫ বলে ৩৯ ও আরাফাত সানি ৭ বলে করেন ১৮ রান। তিনটি চার ও একটি ছ্ক্কা হাকান এই বাঁহাতি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরি (১০৭) ও অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৮৪ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে ২৯১ রান তোলে বিসিবি নর্থ জোন।
ইসলামী ব্যাংকের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানী ও আসিফ আহমেদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবুল হাসান, আবু জায়েদ, নাবিল সামাদ ও অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হয়েছেন আবুল হাসান। আর টুর্নামেনট সেরার পুরস্কার উঠেছে নাসির হোসেনের হাতে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই আসরে মোট চারটি দল অংশ নেয়। ফাইনালেনর আগে প্রতিটি দল পরস্পরের সাথে একবার করে মুখোমুখি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল ২০১৫
এসকে/এমআর