ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ১৬ বছর পর পাকিস্তানকে হারানোর পর থেকেই বাংলার আকাশে বাতাশে যেন গুঞ্জন চলছিল সিরিজ জয়ের। সেটি যখন এক ম্যাচ হাতে রেখেই জয় করল মাশরাফি বাহিনী তখন প্রত্যাশা যেন বেড়ে গেল আরও।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সিরিজের শেষ ম্যাচেটিতে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই দাপট দেখিয়ে অবশেষে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশই করল টাইগাররা। সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো দেশ।
বরাবরের মত সেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়ে তারুণ্যের প্রাণ কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে। নেচে গেয়ে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার মুহূর্তটি উদযাপন করেন হাজারো তরুণ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমে ‘রান মেশিন’ এবং ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকুর রহিম চার মেরে খেলা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে জড়ো হয় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে। এরপর চলে বাঁধ ভাঙা উল্লাস।
লাল-সবুজের পতাকা যেন এদিন সমর্থকদের হাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই উজ্জ্বল। পত পত করে ওড়ার শব্দে যেন ধ্বনিত হচ্ছিল অনুপম গৌরব। যে দেশটির বিরুদ্ধে রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল এই পতাকা, সেই দেশকেই নাস্তানাবুদ করে টাইগার বাহিনী।
টিএসসিতে উল্লাসরতদের মধ্যে সুর্যসেন হলের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ ইব্রাহিম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, আজকের এ জয়টি অন্যান্য জয়ের থেকে আলাদা। কারণ আজ আমাদের বীর ক্রিকেটাররা এমন একটি দলকে বাংলাওয়াশ করল যাদের বিরুদ্ধে আমরা সিরিজ জয়তো দূরের কথা, গত ১৬ বছরে কোন ফরমেটের ক্রিকেটেই পরাজিত করতে পারিনি। তাই এ জয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দল যে পারফরমেন্স দেখাচ্ছে তাতে অচিরেই তারা ক্রিকেট বিশ্বে পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী প্রদীপ কুমার বলেন, পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা হল। এখন আর কেউ ‘পুচকে’ দল বলে অবজ্ঞা করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
সমর্থকদের প্রত্যাশা জয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে আসন্ন টি-টুয়েন্টি এবং টেস্ট ম্যাচগুলোতেও। আগামী ম্যাচগুলোতেও দাপটের সঙ্গেই জিতবে টাইগার বাহিনী।
অব্যাহতভাবে মাশরাফি-মুশফিকরা পাকিস্তানকে সব সিরিজেই বাংলাওয়াশ করুক প্রত্যাশা সমর্থকদের।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এসএ/এমজেএফ