খুলনা থেকে: এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো উইকেট তুলে নিতে পারে নি টাইগার বোলাররা। ৮ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৪ রান।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাইজুল ইসলামকে আক্রমণে এনে সাফল্য দেখেন মুশফিক। পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজকে উইকেটের পেছনে দলপতি মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন তাইজুল। কিন্তু হাফিজের রিভিউয়ে আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
৩৩২ রানে অলআউট হওয়ার পর ফিল্ডিংয়ে নামে মুশফিক বাহিনী। পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ হাফিজ এবং অভিষিক্ত সামি আসলাম। আর টাইগারদের বোলিং উদ্বোধন করতে আসেন রুবেল হোসেন।
এর আগে দ্বিতীয় সেশনের পর মাত্র তিন ওভার খেলে স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে যায়। সবক’টি উইকেট হারানোর আগে ১২০ ওভার খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩২ রান। আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৩৬ রানের সঙ্গে আর মাত্র ৯৬ রান করতেই শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।
প্রথম দিন ১৯ রানে অপরাজিত থাকা সাকিব দ্বিতীয় দিন শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন। প্রথম দিনের রানের সঙ্গে আর মাত্র ৬ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে জুলফিকার বাবরের বলে লেগ স্লিপে দাঁড়ানো আসাদ শফিকের তালুবন্দি হন সাকিব।
সাকিবের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত সৌম্য সরকার। এ দুই ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে আরও ৬২ রান যোগ করেন। দলীয় ৩০৫ রানের মাথায় মুশফিককে একা রেখে বিদায় নেন সৌম্য। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে (৫৫ বল) মোহাম্মদ হাফিজের বলে আসাদ শফিকের দারুণ এক ক্যাচে বিদায় নেন টেস্টে অভিষিক্ত সৌম্য। আর ব্যক্তিগত ৩২ রান (৭১ বলে) করে ইয়াসির শাহর বলে মিসবাহর তালুবন্দি হন মুশফিক।
মুশফিক-সৌম্য বিদায় নিলে ভেঙে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন-আপ। এরপর ইয়াসির শাহর তৃতীয় শিকারে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তাইজুল ইসলাম (১ রান)। মধ্যহ্ন বিরতির আগে পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান।
বিরতির পর প্রথম সেশনে চার উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তোলা টাইগারদের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আবারো উইকেটের পতন ঘটে। সাজঘরে ফেরত যান আরেক অভিষিক্ত মোহাম্মদ শহিদ। ওয়াহাব রিয়াজের বলে মিসবাহর তালুবন্দি হওয়ার আগে শহিদ করেন ১৫ বলে ১০ রান। এরপর রুবেল হোসেন ২ রান করে বিদায় নেন। শুভাগত হোম ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সফরকারী পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ এবং ইয়াসির শাহ। আর দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ হাফিজ এবং জুলফিকার বাবর।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিন চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৩৬ রান।
টেস্টে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৫১ রান করা তামিম পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বিদায় নেওয়ার আগে করেন ২৫ রান। তার ৭৪ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি। দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই ভালো খেলতে থাকা ওপেনার ইমরুল কায়েস ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫১ রান করে বিদায় নেন। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল।
তামিম-ইমরুল ফিরে গেলে ব্যাটিং ক্রিজের দায়িত্ব নেন বিশ্বকাপের চমক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং টেস্টের ‘বিস্ময়বালক’ মমিনুল হক। এ দু’জন মিলে স্কোরবোর্ডে আরও ৯৫ রান যোগ করেন।
তবে, ইনিংসের ৭৪তম ওভারে এসে উইকেটের পেছনে সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ। ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হওয়ার আগে রিয়াদ করেন ১২৩ বলে ৬টি চারে ৪৯ রান।
দলীয় ১৮৭ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বিদায় নিলে ব্যাটিং ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। মমিনুল আর সাকিব মিলে স্কোরবোর্ডে আরও ৪৯ রান যোগ করেন।
এর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২ ম্যাচে ৪টি শতক আর ৭টি অর্ধশতক হাঁকানো মমিনুল পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের অষ্টম অর্ধশতকের দেখা পান। তবে, ইনিংস শেষের এক বল আগে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন মমিনুল হক।
৮০ রান করে জুলফিকার বাবরের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন মমিনুল। বাংলাদেশের ‘ব্রাডম্যান’ খ্যাত মমিনুল আউট হওয়ার আগে ১৬২ বলের সাজানো ইনিংসে ৮টি চার হাঁকান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ২৯ এপ্রিল ২০১৫
এমআর
** ফিল্ডিংয়ে নেমেছেন মুশফিক-তামিম-সাকিবরা
** থেমে গেল টাইগারদের প্রথম ইনিংস
** শেষ জুটিতে খেলছে বাংলাদেশ
** মধ্যাহ্ন বিরতির পর নেমেছে টাইগাররা
** ভেঙে পড়ছে টাইগারদের ব্যাটিং
** অভিষিক্ত সৌম্যর বিদায়
** মুশফিক-সৌম্যর কৌশলী ব্যাটিং
** শুরুতেই ফিরলেন সাকিব
** দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমেছে টাইগাররা
** প্রথম দিন টাইগারদের সংগ্রহ ২৩৬/৪