খুলনা থেকে: তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে স্বাগতিক বোলারদের একটিই সাফল্য। বাংলাদেশ বড় জুটি ভেঙে হাফিজ-আজহারকে বিচ্ছিন্ন করলেও ঠিক সেখান থেকেই যেন পাকিস্তানের রানের চাকা ছুটিয়ে নিয়ে চলছেন হাফিজ-ইউনুস জুটি।
প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন টাইগারদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রান টপকে ম্যাচে লিড নিচ্ছে সফরকারী পাকিস্তান। দলের সংগ্রহ আরও বাড়িয়ে নিতে হাফিজ-ইউনিস ৫৬ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
উইকেটে অপরাজিত থেকে হাফিজ করেছেন ১৯০ রান এবং হাফিজের সঙ্গী হিসেবে চার নম্বরে নামা ইউনিস খান করেছেন ৩১ রান।
দলীয় ২৭৭ রানের মাথায় তৃতীয় দিনের প্রথম উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। পাকিস্তান দুই উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৩৩ রান।
এর আগে ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকে মিসবাহ বাহিনী তৃতীয় দিন শুরু করে। সফরকারীদের হাতে ছিল ৯ উইকেট।
স্বাগতিক বোলারদের অপেক্ষায় রেখে এগিয়ে চলছিল পাকিস্তানের ইনিংস। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে সতর্ক থেকে ব্যাট করছিলেন সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ এবং আজহার আলি। তবে, ইনিংসের ৭২তম ওভারে এসে দিনের প্রথম সাফল্য ধরা দেয় টাইগার দলে। শুভাগতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮৩ রান করা আজহার আলি।
আউট হওয়ার আগে আজহার আলি ১৭৭ বলে চারটি চার আর একটি ছয়ে তার ইনিংস সাজান। হাফিজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২২৭ রানের বড় জুটিও গড়েন আজহার। দু’জন মিলে টাইগার বোলারদের ৬০ ওভার অপেক্ষায় রাখেন।
দ্বিতীয় দিন মোহাম্মদ হাফিজের শতকে শক্ত অবস্থান নেয় পাকিস্তান। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৭ রান। টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক হাঁকিয়ে হাফিজ ১৩৭ রানে এবং ১৯তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে আজহার ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। আজহারকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় দিন ১৭৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন হাফিজ।
টেস্ট ৠাংকিংয়ের চার নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন এক রকম চাপের মধ্য থেকে শেষ করে বাংলাদেশ। আট বোলার ব্যবহার করেও স্বাগতিকরা মাত্র একটি উইকেটের দেখা পায়। পাকিস্তানি ওপেনার সামি আসলামকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন তাইজুল ইসলাম। আউট হওয়ার আগে অভিষিক্ত এ ব্যাটসম্যান করেন ২০ রান।
এর আগে টেস্টের প্রথম দিন চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৩৬ রান। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৯৬ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় মুশফিক বাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন মমিনুল হক। এছাড়া টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস ৫১, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৯, সৌম্য সরকার ৩৩, মুশফিক ৩২, তামিম ২৫ ও সাকিব ২৫ রান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ৩০ এপ্রিল ২০১৫
এমআর
** ছুটে চলেছে পাকিস্তানের ইনিংস
** আজহারের স্টাম্প উড়ালেন শুভাগত
** উইকেটের অপেক্ষায় স্বাগতিক বোলাররা
** ম্যাচে ফিরতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
** বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত পাকিস্তানের
.jpg)
