মিরপুর থেকে: দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য। ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজনের হারও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
ভক্তদের এই দূর্বলতাকেই পুঁজি করছেন টিকিট কালোবাজারীরা। ব্যাংকের টিকিট চলে আসে তাদের হাতে। দুইগুন-তিনগুন দামে কিনে নিতে বাধ্য হয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। কালোবাজারীরা গোপনে টিকিট বিক্রির প্রথা মানলেও সেটি এখন প্রকাশ্যেই চলছে। তাও আবার স্লোগান তুলে, ‘গ্যালারি দেড়শ’ ‘গ্যালারি দেড়শ’।
বুধবার মিরপুরে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের মর্নিং সেশনের শুরুতে স্টেডিয়ামের চার নম্বর গেটে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
কালোবাজারীদের হাতে হাতে টিকিট। মুখে স্লোগান। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে কয়েকজন তরুণ এপাশ-ওপাশ না করেই টিকিট কিনে নিচ্ছেন।
কথা হয় টিকেট কালোবাজারী মোহাম্মদ বাবুর সঙ্গে। নিজেকে তিনি মিরপুরের বাসিন্দা বলেই দাবি করলেন। ডান হাতে তার পাঁচটা টিকিট, অন্য হাতে টাকা। আপনার সঙ্গে কয়টা টিকিট আছে জিজ্ঞেস করতেই বলে উঠলেন, আপনার কয়টা লাগবে? যতগুলো দরকার ততই সে দিতে পারবে!
কেমন দামে বিক্রি করছেন জানতে চাইলে বললেন, ‘উত্তর ও দক্ষিণ গ্যালারির টিকিটি লেখা আছে ৫০ টাকা, ভ্যাটসহ ৫৮ টাকা। এইটা বিক্রি করতেছি ১৫০ টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাটিং করলে আরো বেশি দামে বিক্রি করতাম। ’
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের টিকিট বিক্রির স্বত্ব পেয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। জনপ্রতি দুইটির বেশি টিকিট দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও এত টিকিট কিভাবে কালোবাজারীদের হাতে যায় তা কারো বোধগম্য নয়।
ব্যাংক কিংবা ক্রিকেট বোর্ডে পরিচিত কেউ আছে নাকি জিজ্ঞেস করতেই জবাব বাবুর, ‘আরে ভাই ধান্দাই হইলো বড় জিনিস। তারা একধরণের ধান্দা করে, আমরা এক ধরণের ধান্দা করি। পকেটে দুইডা পয়সা আহে। ’
ওয়ানডে সিরিজে ব্যবসা ভালো হয়নি তাই আজ স্লোগান তুলে টিকিট বিক্রি করছি-জানালেন টিকিট কালোবাজারী বাবু।
ঢাকা টেস্টের জন্য টিকিট মূল্য :
পূর্ব গ্যালারি ২০ টাকা, উত্তর ও দক্ষিণ গ্যালারি ৫০ টাকা, শহীদ মুস্তাক ও শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড ৭৫ টাকা, ভিআইপি স্ট্যান্ড ১০০ টাকা, গ্রান্ড ৩০০ টাকা। বিসিবি হসপিটালিটি লাউঞ্জ (উত্তর) ১০০০ টাকা, হসপিটালিটি ও কর্পোরেট ১০০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ০৬ মে ২০১৫
এসকে/এমআর