মিরপুর থেকে: পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৫০ রান পিছিয়ে থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শুধুমাত্র রানের বোঝা নয়, খেই হারিয়ে ফেলা টাইগারদের দুঃশ্চিন্তা উইকেটে টিকে থাকা নিয়েও।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারানো টাইগারদের সংগ্রহ ১০৭ রান। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটি তাই বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের সামিল।
দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১০৭ রানে তামিম ইকবাল, মমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিককে হারিয়ে ফেলা স্বাগতিক শিবির এখন ফলোঅনে পড়ার শঙ্কায় ভুগছে। সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামাতে হলে টাইগারদের করতে হবে আরও ২৫১ রান।
প্রথম দিনের ‘নো বল’ আক্ষেপ আর দ্বিতীয় দিন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা স্বাগতিক বাংলাদেশকে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তৃতীয় দিন ঘুরে দাঁড়াতে ব্যাট হাতে নামেন আগের দিনের অপরাজিত থাকা সাকিব আল হাসান। তাকে সঙ্গ দিতে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে দিন শুরু করেন সৌম্য সরকার।
দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৭ রান তুলতেই স্বাগতিকদের টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান বিদায় নেন। খুলনা টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল মাত্র ৪ রান করেই আউট হন। আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস নিজেকে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ব্যাট করতে থাকলেও ব্যক্তিগত ৩২ রান করে ফেরেন। তবে, তার আগে টেস্ট ক্রিকেটের ‘বিস্ময় বালক’ খ্যাত মুমিনুল হক দলীয় ৩৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। আউট হওয়ার আগে মুমিনুল করেন ১৩ রান।
২৮ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলীয় ৮৫ রানের মাথায় চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে ব্যাটিং ক্রিজে আসেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। তবে, দিনের শেষ ওভারের এক বল বাকি থাকতে ১২ রান করে স্বাগতিকদের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন।
এর আগে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৫৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেন আজহার আলি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৮ রান আসে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খানের ব্যাট থেকে। আর আসাদ শফিক টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক হাঁকিয়ে করেন ১০৭ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে নয়জন বোলার বল করলেও ইনিংস সর্বোচ্চ তিন উইকেট দখল করেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শহীদ এবং শুভাগত হোম।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ০৮ মে ২০১৫
এমআর
** দৈন্যদশা ব্যাটিংয়েও, ফলোঅনের শঙ্কা