ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চ্যালেঞ্জে হার মানলেন তামিম

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৫
চ্যালেঞ্জে হার মানলেন তামিম ছবি: শোয়েব মিথুন /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: ঢাকা টেস্টে জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল।

কিন্তু তারপরেও আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ। খুলনা টেস্টের সেই অসাধারণ ঘুরে দাঁড়ানো প্রেরণা যোগাচ্ছে টাইগারদের।

বাঁহাতি পেসার ইমরান খানের বলে উইকেটের পেছনে সরফরাজের গ্লাভসবন্দি হয়ে বিদায় নেন তামিম। আউট হওয়ার আগে তিনি ৬৭ বলে ৭টি চারে ৪২ রান করেন। উইকেটে রয়েছেন মুমিনুল হক (২৮) এবং মাহমুদুল্লাহ।

বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৮৬ রান। এখনও পাকিস্তানের থেকে ৪৬৪ রান পিছিয়ে স্বাগতিকরা।

আশা-নিরাশার দোলাচলে থেকে আর কঠিন চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়ে যেতে দিন শুরু করে টাইগার বাহিনী। বিশ্বরেকর্ড গড়ার হাতছানি নিয়ে ৩২ রান করে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল। আর তামিমকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন ১৫ রান করা মুমিনুল।

এর আগে তৃতীয় দিন রানের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে টাইগাররা। ইমরুল কায়েসের একমাত্র উইকেটটি হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১৪ ওভারে তোলে ৬৩ রান। সফরকারী পাকিস্তানকে হারাতে স্বাগতিকরা পিছিয়ে ছিল ৪৮৭ রান, হাতে নয় উইকেটে (ইনজুরিতে শাহাদাত)।

তিন হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান তামিম ইকবাল। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ইমরান খানকে চার মেরে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি।

৫৫০ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের ১২তম ওভারে ইয়াসির শাহর বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৬ রান করে আউট হন ইমরুল।

এর আগে বাংলাদেশকে ২০৩ গুটিয়ে দিয়েও খুলনা টেস্ট পাকিস্তানকে ভয় দেখায়। গত টেস্টে প্রায় দুইদিন ব্যাটিং করে ম্যাচ ড্র করেছিল স্বাগতিকরা। তাই বাংলাদেশকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নেমে যায় সফরকারীরা। ৫৪৯ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার আগে ৬ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৫ রান। ফলে, বাংলাদেশের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ৫৫০ রান।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তোলে। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৯তম অর্ধশতককে চতুর্থ শতকে রূপ দিতে পারেন নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টাইগারদের অষ্টম উইকেট পড়ে গেলে হাত খুলে খেলা শুরু করেন সাকিব। মোহাম্মদ শহীদ আউট হয়ে গেলে আর শাহাদাত হোসেনের অনুপস্থিতিতে সাকিবকে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকতে হয়। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে পিছিয়ে থাকে স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৫৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেন আজহার আলি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৮ রান আসে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খানের ব্যাট থেকে। আর আসাদ শফিক টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক হাঁকিয়ে করেন ১০৭ রান।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে নয়জন বোলার বল করলেও ইনিংস সর্বোচ্চ তিন উইকেট দখল করেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শহীদ এবং শুভাগত হোম। আর দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ শহীদ নেন দুটি উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ০৯ মে ২০১৫
এমআর

** চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়ে দিন শুরু টাইগারদের
** আশা-নিরাশার দোলাচলে মুশফিক বাহিনী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।