ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশের মাঠে পাকিস্তানের নজর!

বিশেষ সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
বাংলাদেশের মাঠে পাকিস্তানের নজর!

ঢাকা: প্রত্যাশাটা এমনই। বাংলাদেশের ক্রিকেট গ্রাউন্ডগুলোতে পাকিস্তান দল তার নিজেদের হোম সিরিজগুলো আয়োজন করতে চায়।

সন্ত্রাস আর সহিংস রাজনীতির কারণে নিজেদের মাটিতে ডাকতে পারছে না কোনও দেশের ক্রিকেট দলকেই। দুবাই, শারজাহতে গিয়ে খেলতে হয় সেসব ম্যাচ। এবার পাকিস্তানের নজর মিরপুর-ফতুল্লা কিংবা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ওপর। এমন একটা মৌখিক কিংবা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি রাজি না হলেও বিসিবি কিন্তু সে প্রস্তাব সরাসরি উড়িয়ে দেয়নি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রেখেছে- এমনটাই নিশ্চিত করছে ভেতরের সূত্রগুলো।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাব এসেছে পিসিবির প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার খানের তরফ থেকে। সাম্প্রতিক পাকিস্তান সফরের শেষভাগে স্রেফ টেস্ট ম্যাচ দেখতে ঢাকা আসেননি তিনি। বরং বড় একটা ক্রিকেট কূটনীতিই চালিয়ে গেছেন এই সাবেক ঝানু কূটনীতিক।

পাকিস্তানের এক সময়ের পররাষ্ট্র সচিব ও বৃটেনে দেশটির হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন এই শাহরিয়ার খান। ফলে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও একটু সাবলীল করতে ক্রিকেটের ব্যবহারে একটু বেশিই আগ্রহী হচ্ছেন শাহরিয়ার।

তিনিই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশে পাকিস্তান দল তার হোম সিরিজের খেলাগুলো খেলবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দি-পাক্ষিক সিরিজগুলো খেলার জন্য দুই দেশই উড়ে আসবে ঢাকায়।

এর দুটি কারণ দেখানো হচ্ছে, প্রথমটা নিঃসন্দেহে কূটনীতিক। বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের প্রবেশ কিছুটা সহজ ও সহনশীল হয়ে উঠবে। আর দ্বিতীয়টি অর্থনৈতিক। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল। তাই মাঠে দর্শক থাকবে। ম্যাচগুলো আয়ের অর্থেও অর্থবহ হবে। কারণ শারজাহ বা দুবাইয়ের কোনও মাঠে খেললে যতটা দর্শক মেলে বাংলাদেশের যে কোনও মাঠে তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শক পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশে প্রচুর সংখ্যক পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভক্ত রয়েছে সে কথাও ভালো করেই জানেন পিসিবি প্রেসিডেন্ট। আর সে কারণে তিনি মনে করছেন এমন একটি উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেলে তা ফলদায়ক হবে।

বিষয়টি বিসিবিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। দেশের মাটিতে বিদেশিদের ক্রিকেট চলতে থাকলে অর্থনীতি চাঙ্গা থাকবে সে কথা ধরেই নেওয়া যায়। আর বাংলাদেশের ম্যাচ যখন থাকবে না তখন অন্য দেশের কাছে গ্রাউন্ডগুলো ভাড়া দিয়ে আয়ও ভালো হবে। আর সে কারণে বিসিবি বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবই পোষণ করছে বলে দাবি দায়িত্বশীল সূত্রের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।