ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টানা চতুর্থ সিরিজ জয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৫
টানা চতুর্থ সিরিজ জয় ছবি: উজ্জ্বল ধর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে: জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান ও ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকা!

বুধবার (১৫ জুলাই) প্রোটিয়াদের ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে টানা চতুর্থ সিরিজ জিতলো টিম বাংলাদেশ।

শুরু থেকেই অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে সমানতালে ব্যাট চালায় তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।

দু’জনই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিতি হলেন সৌম্য। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও আক্ষেপ থাকার কথা নয় তার। কারন সৌম্যের ব্যাটে ভর করেই ঐতিহাসিক সিরিজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশঅ।

প্রোটিয়াদের দেওয়া ১৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হেসে-খেলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

১৭০ রান তুলতে মাশরাফি বাহিণীকে খেলেছে মাত্র ২৬.১ ওভার। একমাত্র সৌম্যের উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ।

সৌম্যের পাশাপাশি তামিম ইকবালও ঘরের মাঠে ৭৭ বলে ৬১ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেছে।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫.৩ ওভারেই দলীয় শতক পার করেন তামিম-সৌম্য। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের হতাশ করে একের পর এক চার হাকাতে থাকেন তারা। ১৫৪ রানে সৌম্য সাজঘরে ফিরলেও লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে তামিম জয়ে নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের শুরু থেকেই সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে সতর্কভাবে ব্যাট করতে থাকে বাংলাদেশের দুই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। বৃষ্টি খাড়ায় পড়ে কার্টেল ওভারের ম্যাচে নির্ধারিত ৪০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা।

এরপর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন জেপি ডুমিনি ও ডেভিড মিলার। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টাও গুঁটিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফি বিন মর্তুজার ২০০তম উইকেটে নিজেদের পঞ্চম উইকেট খোয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দলীয় ৩০ ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশ অধিনায়কের বলে মারতে গিয়ে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত হন ডেভিড মিলার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করতে পারেন হাশিম আমলার বাহিনী।

বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকে চাপের মুখে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশি বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করায় নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।

সাকিব-মাশরাফি-মুস্তাফিজ-রুবেলেদের বোলিংয়ে চাপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ১৬৮ রান করে প্রোটিয়ারা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৫
এসএইচ

** সিরিজ জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
** সিরিজ জেতায় টাইগারদের খালেদার অভিনন্দন
** দুর্দান্ত খেলেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত সৌম্য
** রান তোলায় টাইগার- প্রোটিয়া পার্থক্য যেখানে

** সৌম্যের দুর্দান্ত অর্ধশতক
** সিরিজ জয়ের সু-বাতাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
** উদ্বোধনী জুটিতে টাইগারদের শতক পার
** ১০ ওভার শেষে শক্ত অবস্থানে টাইগাররা
** সতর্ক ব্যাটিংয়ে তামিম-সৌম্য
** প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিলেন মাশরাফি
**  মাশরাফির ২০০তম উইকেটে দিশেহারা প্রোটিয়ারা
** ডুমিনি-মিলারের প্রতিরোধ চেষ্টা
** খেলা শুরু হতে হবে ১০:২০ মিনিটের আগে এবং...
** থেমেছে বৃষ্টি, খেলা শুরুর অপেক্ষা
** বৃষ্টি হানায় বন্ধ ম্যাচ
** দলকে টানছেন মিলার-ডুমিনি
** আমলাকে ফেরালেন সাকিব
** দু’বার বেঁচে গেলেন আমলা
** সাকিবের ঘূর্ণিতে ফিরলেন প্লেসিস
** শুরুতেই ডি কককে ফেরালেন মুস্তাফিজ
** সিরিজ জিততে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা
** টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে প্রোটিয়ারা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।