ঢাকা: কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। সফরকারী ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ৩১২ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০১ রানে অলআউট হয়েছে লঙ্কানরা।
টেলএন্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা ভারতের থেকে ১১১ রানে পিছিয়ে থাকে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে দলীয় ৪৭ রানের মাথায় টপঅর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যানকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় পেসারদের দাপটে ওপেনার উপল থারাঙ্গা (৪ রান), কুশল সিলভা (৩ রান), করুনারত্নে (১১ রান), চান্দিমাল (২৩ রান), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (১ রান), থিরিমান্নে (শূন্য রান) করে বিদায় নেন।
তবে, দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব বেশ ভালোই পালন করেন সাত নম্বরে নামা অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা এবং নয় নম্বরে নামা রঙ্গনা হেরাথ। এ দু’জন স্কোরবোর্ডে ৭৯ রান যোগ করেন। পেরেরা ৫৬ বলে ৯টি চারে ৫৫ রান করে বিদায় নেন। হেরাথ ৮৪ বলে ৮টি চারে করেন ৪৯ রান। শেষ সময়ে ধাম্মিকা প্রসাদ করেন ২৭ রান।
ভারতের হয়ে ইশান্ত শর্মা একাই তুলে নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া স্টুয়ার্ট বিনি ও অমিত মিশ্র দুটি করে উইকেট দখল করেন।
এর আগে চেতস্বর পুজারার হার না মানা ১৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত সবক’টি উইকেট হারিয়ে তোলে ৩১২ রান। ২৮৯ বল মোকাবেলা করে পুজারা ১৪টি চারের সাহায্যে তার অপরাজিত ইনিংসটি সাজান। আর তাতেই ইতিহাসের পাতায় ঢুকে যান পুজারা। প্রায় আট মাস পর দলে ফিরে ভারতের চতুর্থ ওপেনার ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর আগে ভারতের হয়ে এ কীর্তি গড়েন রাহুল দ্রাবিড়, বিরেন্দর শেওয়াগ আর সুনীল গাভাস্কার।
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নয় নম্বরে নামা অমিত মিশ্রর ব্যাট থেকে। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের তাপস বৈশ্য নয় নম্বরে নেমে অপরাজিত ৫২ রান করে এ মাঠে এতোদিন সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। তাপস বৈশ্যকে টপকে মিশ্র ৮৭ বলে ৫৯ রান করার পথে পুজারার সঙ্গে জুটি বেধে স্কোরবোর্ডে আরও ১০৪ রান যোগ করেন। যা লঙ্কানদের বিপক্ষে ভারতের অষ্টম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান। এছাড়া অভিষিক্ত নোমান ওঝাকে সঙ্গে নিয়ে পুজারা ৫৪ রানের জুটি গড়েন।
দ্বিতীয় দিন কোহলি ১৮, রোহিত শর্মা ২৬, স্টুয়ার্ট বিনি ০, অশ্বিন ৫, ওঝা ২১, ইশান্ত শর্মা ৬, উমেস যাদব ৪ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে চারটি উইকেট পান ধাম্মিকা প্রসাদ। আর তিনটি উইকেট দখল করেন রঙ্গনা হেরাথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট ২০১৫
এমআর