ঢাকা: বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে উদ্বোধণী ম্যাচ। তাতে কিছুটা মন খারাপ বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী দলের অধিনায়ক আলম খানের, ‘খেলা হলে ভালো লাগতো।
ক্রিকেটারদের কাজ খেলা, খেলতে না পারলে মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। ’
এতটুকু খারাপ লাগার বাইরে বাকি সময়টা কেবলই আনন্দ। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আনন্দ-উৎসবেই কেটেছে আলম-বাপ্পি-তীর্থ-শামীমদের সকাল-দুপুর। মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের ড্রেসিংরুমে টিম মিটিং, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সমান সুযোগ-সুবিধা।
দর্শকদের ভালোবাসা, সমর্থনে মন ভরে গেছে আলমের। মিরপুরের আশে-পাশের কয়েকটি স্কুল থেকে মাঠে এসেছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। জাতীয় পতাকা হাতে মাঠের চারপাশ ঘুরে বেড়িয়েছে প্রতিবন্ধী দলটি। দর্শকরাও আনন্দচিত্তে অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের। দর্শকদের অভিনন্দন-ভালবাসায় আপ্লুত হয়েছে পুরো দল। এমন ভালবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞ আলমবাহিনী।
শুধু বাংলাদেশ নয়, উৎসবমুখর একটি দিন কাটিয়েছেন টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণকারী বাকি চারটি দলের ক্রিকেটাররাও। শারিরীক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের নিয়ে এত বড় আসর হয়নি অতীতে। ইতিহাসের সাক্ষী হতেই আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সেলফি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। গ্রুপ-ফটোতেও হয়েছেন ক্যামেরাবন্দী।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মতো উপভোগ্য সময় কাটিয়েছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররাও। গ্যালারির ব্যারিকেটের কাছে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে করমর্দন, সেলফি তোলা আর গল্প-গুজব করেছেন ইংলিশরা। দলটির অধিনায়ক ইয়োইন ডেভিড বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুনের সঙ্গেও জমিয়ে দেন আড্ডা। ইংলিশরা যে এত রসিক তা ভাবাই যায়নি !
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এসকে/এমএমএস