ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কর্ণাটকের বিপক্ষে নাসির-সৌম্যদের হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫
কর্ণাটকের বিপক্ষে নাসির-সৌম্যদের হার ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: রঞ্জিট্রফি, ইরানি ট্রফি আর বিজয় হারারে ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটকের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক দলটি।

ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে ২-১ এ ওয়ানডে সিরিজে পরাজয়ের পর তিনদিনের ম্যাচেও ব্যর্থ মুমিনুল হকের নেতৃত্বে থাকা সফরকারী দলটি।

মহীশুরে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দারুণ ব্যাট করে সফরকারী বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৬ ওভার ব্যাট করে অলআউট হওয়ার আগে ৩০৯ রান সংগ্রহ করে। ফলে, স্বাগতিক দলটির বিপক্ষে ১৮১ রানের টার্গেট দাঁড় করায় বাংলাদেশ ‘এ’।

বাংলাদেশ ‘এ’: ১৫৮ ও ৩০৯
কর্ণাটক: ২৮৭ ও ১৮৫/৬
ফল: কর্ণাটক ৪ উইকেটে জয়ী

জিততে হলে কর্ণাটককে শেষ দিনে ১৮১ রান তুলতে হবে এমন টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ৪০.৫ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৫৮ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা তোলে ২৮৭ রান। ফলে, ১২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামে নাসির-সৌম্য-এনামুল-লিটনরা।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের মারমুখি ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৯ রানের লিড নেয় মুমিনুল বাহিনী।

ভারতের দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করে আউট হন এনামুল বিজয়। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি খেলতে তিনি মাত্র ৮৭টি বল মোকাবেলা করেন। বিজয়ের ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ৫টি ছক্কা।

অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার করেন ১৫ রান।

হাতে সাত উইকেট নিয়ে তৃতীয় ও শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। শেষ দিনে অপরাজিত থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন দাশ ও সৌম্য সরকার। লিটন ৮১ বলে ৩৮ ও সৌম্য ৬২ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন।

নাসির হোসেন আবারো দলের হাল ধরে খেলেন ৪৪ রানে ইনিংস। ৬১ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার আর একটি ছক্কায় নাসির তার ইনিংসটি সাজান। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করা শুভাগত হোম দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন। ৭৪ বলে ৭টি চার আর একটি ছয়ে তিনি হার না মানা ৫০ রান করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি সাকলাইন সজীব, কামরুল রাব্বি, জুবায়ের হোসেন আর আল আমিন হোসেন।

ভারতের হয়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন সুচিথ।

এর আগে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে সাকলাইন সজীব ও শুভাগমত হোম চারটি করে উইকেট নেন। আল আমিন হোসেন ও জুবায়ের হোসেন পান একটি করে উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানের টার্গেটে নেমে ৪০.৫ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

দলীয় ১৩ রানের মাথায় ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। আল আমিনের শিকার হয়ে ওপেনার সামর্থ এক রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার আগরওয়ালকে (২৩ রান) ফিরিয়ে দেন সাকলাইন সজীব।

তিন নম্বরে নামা রবিন উথাপ্পাকে (৩ রান) সাজঘরের পথ ধরান তাসকিনের বদলি হিসেবে যাওয়া কামরুল ইসলাম রাব্বি।

তবে, দলকে সহজ দিকে এগিয়ে নিতে হাল ধরার চেষ্টা করেন গৌতম। চার নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে দশটি চারে করেন ৪৯ রান। সাকলাইন সজীবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৮০ বলে ৩৬ রান করা অভিষেক রেড্ডিকে ফিরিয়ে দেন আল আমিন।

ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগলেও বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ান শিশির আর শ্রেয়াস গোপাল। জুবায়ের হোসেনের ঘূর্ণিতে ২৪ বলে ২৪ রান করে ফেরেন শিশির। তবে, দলকে জয় পাইয়ে দিতে অপরাজিত থাকেন গোপাল। অপরাজিত ৪০ রান করেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে আল আমিন ও সাকলাইন সজীব দু’টি করে উইকেট তুলে নেন। আর একটি করে উইকেট পান জুবায়ের এবং রাব্বি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।