ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রোহিতের তাণ্ডব, প্রোটিয়াদের বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৫
রোহিতের তাণ্ডব, প্রোটিয়াদের বড় জয় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক টিম ইন্ডিয়াকে ৭ উইকেট হারিয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারী প্রোটিয়ারা।



ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে জেতাতে অসাধারণ এক জুটি গড়েন জেপি ডুমিনি আর ফারহান বেহারদিয়েন। ওপেনিং জুটিতে দারুণ করার পর শেষটাও ভালো করে প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাটিং করা টিম ইন্ডিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৯ রান। রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।

টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে ফাফ ডু প্লেসিস মাঠে দাঁড়িয়ে দেখেছেন রোহিত শর্মার তাণ্ডব। মাত্র ৬৬ বলে ১০৬ রান করেছেন ভারতের ওপেনার। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার আর ৫টি ছক্কায় ১৬০.৬০ স্ট্রাইক রেটে।

টিম ইন্ডিয়ার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২২ রানে। শিখর ধাওয়ানকে (৩ রান) ফিরিয়ে দেন কাইল অ্যাবোট। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন বিরাট কোহলি। অ্যাবোটের শিকারে তিনিও ফেরেন। তবে, আউট হওয়ার আগে কোহলি খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। ২৭ বলে একটি চার আর তিনটি ছক্কায় কোহলি তার ইনিংসটি সাজান। দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে রোহিত শর্মার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অনবদ্য ১৩৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।

ক্রিস মরিসের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ার আগে সুরেশ রায়নার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান (৮ বলে ২টি ছক্কা)। টিম ইন্ডিয়ার দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি ১২ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে স্বাগতিকরা।

২০০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে প্রোটিয়ারা। ওপেনার হাশিম আমলা আর এবিডি ভিলিয়ার্স উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ বলে ৭৭ রান তুলে ফেলেন। আমলা ব্যক্তিগত ৩৬ রানে ফিরে যান। রান আউট হওয়ার আগে প্রোটিয়া এ ওপেনার ২৪ বলে ৫টি চারে তার ইনিংসটি সাজান।

৩২ বলে ৭টি চার আর একটি ছক্কায় ভিলিয়ার্স করেন ৫১ রান। অভিষিক্ত আরাভিন্দের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সফরকারীদের দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ৪ রান করেন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১০৫ রান যোগ করেন জেপি ডুমিনি আর ফারহান বেহারদিয়েন। শেষ দুই ওভারে সফরকারীদের দরকার ছিল ২৪ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। শেষ ওভারে আরও প্রয়োজন হয় ১০ রান। ২ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দ. আফ্রিকা।

দলকে জেতাতে ডুমিনি খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। আর বেহারদিয়েনের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। মাত্র ৩৪ বল মোকাবেলা করা ডুমিনির ইনিংসে ছিল একটি চারের সাথে ৭টি ছক্কার মার। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। বেহারদিয়েন ২৩ বলে তার ইনিংসটি সাজান। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে ৪টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।