ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টিকিট পেতে ২৭ ঘণ্টা আগেই লম্বা লাইন!

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৬
টিকিট পেতে ২৭ ঘণ্টা আগেই লম্বা লাইন! ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে শনিবার (০৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। তবে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকেই ফাইনাল ম্যাচের একটি টিকিট পেতে টাইগারপ্রেমিদের অপেক্ষা ইউসিবি ব্যাংকের মিরপুর শাখায়।



ব্যাংক খোলার একদিন আগেই মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থিত ইউসিবি ব্যাংকের এ শাখায় ভিড় জমাতে থাকেন তারা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার তরুণ-যুবা হাজির হয়েছেন এখানে। তাতে ব্যাংকের গেট থেকে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন গড়িয়ে গেছে মাদ্রাসা গলি পর্যন্ত। খবরের কাগজ রাস্তায় বিছিয়ে গল্প-আড্ডা আর তাস খেলে সময় পার করছেন তারা।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) দুপুরে তাস খেলে সময় পার করা টিকিটপ্রত্যাশী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো।

কল্যানপুর থেকে আসা আরিফ, ইমরান, রুবেল, জাহাঙ্গীরদের সাথে কথা হলো তাদের খেলার ফাঁকেই। টিকিট পেতে উৎসাহী হলেও মনে তাদের দুঃশ্চিন্তা, শেষ পর্যন্ত মিলবে তো একটি টিকিট! কারণ ২৪ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের একদিন আগে এভাবেই রাত্রীযাপন করেছিলেন আরিফ-ইমরানরা। তবে সকাল হতেই লাইনের ভেতরে নিয়ম ভেঙে শত শত লোক ঢুকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কালোবাজারীদের কাছ থেকে চড়া দামে টিকিট কিনেই দেখতে হয়েছিল খেলা।

এবার কোনোভাবেই এমন হতে দেবেন না তারা। যে কোনো মূল্যে ব্যাংক থেকে টিকিট কেটে রোববার (০৬ মার্চ) খেলা দেখেই বাসায় ফিরবেন বলে পণ করেই আটসাট বেধে রাস্তার পাড় দখল করেছেন তারা।

শুধু রাজধানী থেকেই নয়; নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, জামালপুর থেকেও অনেক যুবক এসে রাস্তাতেই দিন-রাত কাটাচ্ছেন। টিকিট পেতে এমন অমানবিক পরিশ্রম, রাস্তায় রাত যাপন করতে চাননি এদের অনেকেই, চেয়েছিলেন ইউক্যাশের মাধ্যমে টিকিট কিনতে। তবে সেখানে বিপত্তি ঘটাতেই দেড় দিন আগেই তাদের স্থান রাস্তা। টিকিট কিনতে আসা ইমরান বাংলানিউজকে জানান, ইউক্যাশে অ্যাকাউন্ট খুলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনেক চেষ্টা করলাম টিকিট কেনার। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নাকি সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে জানানো হলো ইউক্যাশের পক্ষ থেকে। এসএমএস এলো  ASIA CUP FINAL (BAN VS IND) ALL TICKETS HAS BEEN SOLD-এমন লেখা।

শোনা যাচ্ছে ফাইনাল ম্যাচে লাইনে দাঁড়ানো প্রতি জনকে একটির বেশি টিকিট দেওয়া হবে না। ঠিক কি পরিমান টিকিট এ ব্যাংকের শাখা থেকে সাধারণ দর্শকদের জন্য সরবরাহ করা হবে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শুক্রবার) ব্যাংক বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফাইনাল ম্যাচে টিকিটের আকাশচুম্বী চাহিদার কারণে এখানে যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্যে ইউসিবি ব্যাংকের সামনে শুক্রবার সকালেই মোতায়েন করা হয়েছে ২৫জন পুলিশ সদস্য। মিরপুর ১৪ নম্বর পুলিশ লাইনের এস আই মো: জাকির হোসেন জানান, এখানে অপেক্ষমান টিকিট প্রত্যাশীদের মাঝে যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এ জন্য আমাদের মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ৮টায় আমরা চলে যাব তখন পুলিশের আরেকটি দল এখানে ডিউটি করবে।

ব্যাংক ছাড়াও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের প্রতিটি গেটে ভীড় করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। কোথায় গেলে মিলবে ফাইনালের টিকিট, গেটে আনসার সদস্যদের কাছে তাদের কৌতুহলী জিজ্ঞাসা? মিরপুর শাখা ছাড়াও ফাইনাল ম্যাচের  টিকিট পাওয়া যাবে ইউসিবির সোনারগাঁও জনপথ, বিজয়নগর, প্রগতি সরণি, বসুন্ধরা ও নয়াবাজার শাখায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ০৪ মার্চ ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।