ঢাকা: প্রায় ছয় বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে ইংল্যান্ড। দুটি টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে খেলতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পা রাখবে ইংলিশরা।
তবে, এখনও কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে।
জালাল ইউনুস জানান, আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত তাদের বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত জানা গেছে সফরকারী দলটি বাংলাদেশে ৩০ সেপ্টেম্বর পা রাখতে চায়।
২০০৩ সালের অক্টোবরের পর ইংল্যান্ড সাত বছর পর ২০১০ সালে বাংলাদেশে এসেছিল। একই বছর ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল টাইগাররা। ২০১০ সালে দুটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার পর বাংলাদেশের সঙ্গে আর টেস্ট খেলেনি ইংলিশরা। এর মাঝে দুই দল ওয়ানডে খেলেছে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে। দুটিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছে ইংলিশরা। বিস্ট্রলে নিজেদের মাটিতেই আরও একবার টাইগারদের কাছে হেরেছিল ইংলিশরা।
এবারের টেস্ট সিরিজে একটি ম্যাচ ফ্লাড-লাইটের আলোর নিচে আর গোলাপি বলে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পরিস্কার করে কিছু বলেননি জালাল ইউনুস। তিনি জানান, এখনও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। অন্য কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলবো। যদি গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার মতো ক্রিকেটাররা উপযুক্ত হয়, তবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের কাছে টানা দুইবার পরাজিত হওয়ার লজ্জা থেকে বাংলাদেশকে বেশ ভালো করেই জানা আছে ইংলিশদের। তাই হয়তো পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার টার্গেটেই বাংলাদেশ সফরে আসছে দেশটি। আর দুই দেশের ক্রিকেট লড়াই প্রথমবারের মতো প্রচার করবে যুক্তরাজ্য কেন্দ্রিক ক্রীড়া নেটওয়ার্ক স্কাই স্পোর্টস।
প্রভাবশালী স্পোর্টস চ্যানেল স্কাই স্পোর্টস বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার এ সিরিজের প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় আগে থেকেই সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ত্ব কিনে নেয় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ০৪ জুন ২০১৬
এমআরপি