ঢাকা: ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলটসহ ৩২ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে পুরস্কৃত করা হয়।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব পুরস্কার তুলে দেন।
২০১০ সালে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন: সাঁতারু মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হারুন অর রশিদ ও নায়েক মো: কবির হোসেন (মরণোত্তর), শ্যুটার আতিকুর রহমান, অ্যাথলেট ফরিদ খান চৌধুরী, মাহমুদা বেগম ও নেলী জেসমিন, স্পেশাল অলিম্পিকের অ্যাথলেট নিপা বোস, জিমন্যাস্ট দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সংগঠক মিজানুর রহমান (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়শন) ও এএসএম আলী কবির (সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন)।
২০১১ সালের পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন: বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট, হকির জুম্মন লুসাই (মরণোত্তর), জিমন্যাস্ট রওশন আরা ছবি, বক্সার সার্জেন্ট মো: কাঞ্চন আলী (অব:), কুস্তিগির সুবেদার হাজী আশরাফ আলী, ভলিবল খেলোয়াড় হেলেনা খান ইভা, শরীর গঠনে রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত), ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামাল, কুতুবউদ্দিন চৌধুরী আকসির ও আশিকুর রহমান মিকু।
২০১২ সালের পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন ফুটবলার, চারজন সংগঠক ও একজন করে ক্রিকেট, অ্যাথলেট, ব্যাডমিন্টন ও হকি খেলোয়াড় রয়েছেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন: ক্রিকেটার সাবিক আল হাসান, ফুটবলার মোহাম্মদ মহসীন, খুরশিদ আলম বাবুল, আশীষ ভদ্র, আবদুল গাফফার, সত্যজিত দাশ রুপু, হকি খেলোয়াড় মামুন উর রশিদ, অ্যাথলেট ফিরোজা বেগম, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নাজিয়া আখতার যুথী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপল এবং উম্মে সালমা রফিক (মরণোত্তর)।
১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার চালু করা হয়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ১৯৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। এরপর ২০১০-১১-১২ সালে তিন বছরে মোট ৩২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, উপ মন্ত্রী আরিফ খান জয়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬
এমইউএম/এমআরপি
