ঢাকা: ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজেদের শততম জয় হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ রানে জিতেছে টাইগাররা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে লাল-সবুজরা। আর জিততে পারলেই ১০০টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে জয়ের মাইলফলকে নিজেদের নাম লেখাবে বাংলাদেশ।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল। অভিষেক হওয়া সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। পরাজয় দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা। প্রথম জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১২ বছর। ওয়ানডেতে ১৯৯৮ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৩১৩টি। সবশেষ আফগানদের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা জিতেছে ৯৯টি ম্যাচে। এর বিপরীতে ২১০টি ম্যাচ হেরেছে। ফল আসেনি চারটি ম্যাচে।
টাইগারদের জয় সবচেয়ে বেশি জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার-গ্রান্ড ফ্লাওয়ার-হিথ স্ট্রিকদের দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৬৭টি ওয়ানডে খেলে জয় পেয়েছে ৩৯টি ম্যাচে, হেরেছে ২৮টি ম্যাচে।
টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল এশিয়ার আরেক পরাশক্তি শ্রীলঙ্কা। ডি সিলভা-রানাতুঙ্গা-জয়সুরিয়া-দিলশানদের দেশটির বিপক্ষে ৩৮টি ওয়ানডে খেলেছে টাইগাররা। তবে, ৩৩টি ম্যাচে হারের পাশাপাশি লঙ্কানদের হারিয়েছে ৪টি ম্যাচে।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আটবার করে ম্যাচ জিতেছে কেনিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৮ বার, হেরেছে ৬ বার। আর কিউইদের বিপক্ষে ২৫ ম্যাচ খেলে ৮ বার জিতলেও হেরেছে ১৭টি ম্যাচে।
বাংলাদেশ ৩৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৩১টি পরাজয়ের পাশাপাশি টাইগারদের জয় চারটি ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৫টি ম্যাচে। তিনটি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও জিতেছে পাঁচবার। টাইগারদের কাছে সাতবার হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনবার হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, চার ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে স্কটল্যান্ড। এছাড়া, আইসিসির সহযোগী দেশগুলোকে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এমআরপি