মিরপুর থেকে: নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে শততম জয় পাওয়া হলো না বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে তিন উইকেটে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় টাইগারদের।
ইনিংসের শেষ ওভারে জয়ের জন্য আফগানদের ১ রান প্রয়োজন ছিল, ঠিক সেই সময় উইকেট নেন তাসিকিন নাজিবুল্লা জাদরানকে ফেরান তিনি। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে রশীদ খানকে আউট করে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ৪৫ ওভারের চতুর্থ বলে রশীদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে চতুর্থ উইকেট নেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ৪০তম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪৯ রানে ব্যাট করা মোহাম্মদ নবীকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করান টাইগার অধিনায়ক। পরের ওভারেই ৫৭ রানে ব্যাটিং করা আসগর স্তানিকজাইকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসগর স্তানিকজাই ও মোহাম্মদ নবী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সফরকারীদের। তারা ১০৭ রানের জুটি গড়েন। তবে মাশরাফি নবীকে আউট করে ম্যাচে স্বাগতিকদের ফিরিয়েছেন ।
এর আগে মোহাম্মদ শাহাজাদকে আউট করেন সাকিব আল হাসান। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনের ক্যাচে পরিণত হন আফগান ওপেনার। এটি সাকিবের তৃতীয় উইকেট। ৩৫ বলে সমান ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে প্যাভিলিওনে ফেরেন শাহাজাদ।
ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলীয় ১৪তম ওভারের প্রথম বলে হাসমতউল্লা শহীদিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এ অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের দেওয়া ২০৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাকিব আল হাসানের বলে দুই উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে নওরোজ মঙ্গলকে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করে প্যাভিলিওনে ফেরান সাকিব আল হাসান। আর ওভারের শেষ বলে রহমত শাহকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকরা ৪৯.২ ওভার শেষে ২০৮ রানে সবকটি উইকেট হারায়।
দলের হয়ে এদিন অভিষেকেই দুর্দান্ত খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর দশম উইকেট জুটিতে রুবেল হোসেনের সঙ্গে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে দলের বিপর্যয় সামাল দেন তিনি।
শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগান বোলারদের নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে ৪৫ বলে চারটি চার ও দুটি বিশাল ছক্কায় সমান সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।
এর আগে টাইগারদের হয়ে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে দু’জনই ব্যক্তিগত ২০ রান করে বিদায় নেন। ৩৮ রান অঅসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। ২৫ রান করেন ওয়ানডাউনে নামা মাহমুদুল্লাহ।
সফরকারী বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রশিদ খান। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নবী ও মিরওয়াইস আশরাফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এমএমএস