দলগত পারফরম্যান্সে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ঢাকা মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম পর্বে চারটি ম্যাচ খেলে। আর প্রতিটি ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নেয় তারা।
তবে প্রথম পর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা রংপুর রাইডার্স শেষ দুই ম্যাচ হারলেও তালিকার তিনে রয়েছে। পাঁচ ম্যাচের দুটি জয়ের বিপরীতে তিনটিতে হেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এই দল।
চারে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চার ম্যাচ খেলে দুটি জয় ও সমান দুটিতে হেরেছে তামিম-ইমরুলরা। কুমিল্লার মতো ঠিক একই পরিসংখ্যান রাজশাহী কিংসের। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে পাঁচে রয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
ছয় নম্বরে থাকা সিলেট সিক্সার্স তিন ম্যাচে একটি জয়ের বিপরীতে হেরেছে দুটিতে। তবে সবচেয়ে নাকাল অবস্থান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সের। চার ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হার দেখেছে তারা। ফলে টেবিলের একেবারে তলানিতে তাদের অবস্থান। এদিকে প্রথম পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক হয়েছেন রংপুরের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রিলে রুশো। পাঁচ ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ২৩০ রান করেছেন তিনি। সিলেটের নিকোলাস পুরান তিন ম্যাচে ১৬৫ রানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। আর ঢাকার আফগান সেনসেশন হজরতউল্লাহ জাজাই চার ম্যাচে ১৪০ করে তৃতীয়স্থান দখল করেছেন।
সেরা পাঁচের পরের দুটি অবস্থান বাংলাদেশিদের। চার ম্যাচে ১৩৯ করা চিটাগংয়ের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম চারে রয়েছেন। আর খুলনার জুনায়েদ সিদ্দিকী চার ম্যাচে ১০৭ রান করে পঞ্চমস্থানে। বোলিংয়ে অবশ্য বাংলাদেশিদেরই দাপট। সেরা পাঁচে এক বিদেশি ছাড়া চারজনই দেশি। পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি। চার ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় চিটাগংয়ের দ.আফ্রিকান পেসার রবি ফ্রাইলিনক।
রংপুরের আরেক দেশি পেসার শফিউল পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয়স্থানে। চার ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে চতুর্থ কুমিল্লার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। আর সিলেটের তাসকিন তিন ম্যাচে সমান ৭ উইকেট নিয়ে পাঁচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯
এমএমএস