ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

ছক্কা মেরেই থেমে গেল জীবন, মাঠেই মৃত্যু ভারতীয় ক্রিকেটারের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৬, জুন ২৯, ২০২৫
ছক্কা মেরেই থেমে গেল জীবন, মাঠেই মৃত্যু ভারতীয় ক্রিকেটারের

জীবন অনিশ্চয়তায় ঘেরা। কখন কার জীবনের শেষ মুহূর্ত এসে যায়, কেউ জানে না।

ঠিক যেমন জানতেন না হরজিত সিং। প্রতিদিনের মতো আজও ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিকেট খেলতে। হাসিমুখে ছক্কা মেরে উদযাপন করছিলেন। অথচ কে জানত, সেই ছক্কাই হয়ে উঠবে তার জীবনের শেষ স্মৃতি।

পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ডিএভি স্কুল মাঠে স্থানীয় এক ম্যাচে অংশ নিচ্ছিলেন ৪২ বছর বয়সী হরজিত সিং। ব্যাট হাতে ভালো খেলে যাচ্ছিলেন। এক বল আগেই প্রতিপক্ষের বোলারকে ছক্কায় উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পর মুহূর্তেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দৃশ্য।

ছক্কার পর নন-স্ট্রাইকে থাকা সতীর্থর সঙ্গে কথা বলতে পিচের মাঝ বরাবর হাঁটছিলেন হরজিত। হঠাৎ করেই থেমে যান। এরপর ধীরে ধীরে বসে পড়েন এবং মুহূর্তের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

খেলার উত্তেজনা তখন মুহূর্তে রূপ নেয় আতঙ্কে। মাঠে থাকা খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা দৌড়ে এসে এগিয়ে আসেন। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়সহ কয়েকজন দ্রুত সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই তাকে আর ফিরিয়ে আনা যায়নি। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানেই থেমে যায় হরজিত সিংয়ের জীবন।

মাঠের সেই করুণ দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া।

এ ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় চলতি বছরের আরও কিছু হৃদয়বিদারক মুহূর্তকে। ২০২৪ সালের জুনে মুম্বাইয়ের রাম গনেশ তেওয়ার নামে আরেক ক্রিকেটার ঠিক এমনভাবেই মারা গিয়েছিলেন মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।

এ বছরের মার্চেও এমন এক ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরে জানা যায়, তার হৃদযন্ত্রে ব্লক ছিল। জরুরি ভিত্তিতে রিং পরানো হলে এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন।

তবে হরজিত সিংয়ের ভাগ্যে সে সুযোগটুকু মেলেনি। ছক্কার মুহূর্তেই থেমে গেছে তার জীবন-যুদ্ধ। খেলাধুলার জগতে আরও একটি অকাল মৃত্যুর করুণ স্মৃতি যুক্ত হলো।

আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।