জন্মদিনে এর থেকে হয়তো ভালো উপহার আর হতে পারে না। নিজের ৩৩তম জন্মদিনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় জয় অবশ্য অখ্যাত চেক প্রজাতন্ত্রের। গত ৩০ আগস্ট তুরস্কের বিপক্ষে ২৫৭ রানে তারা জয় পেয়েছিল।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করা অজিরা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের পাহাড়সম স্কোর করে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) অ্যাডিলেড ওভালে টসে জিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে লঙ্কান বোলারদের বেদম পিটিয়ে ওয়ার্নারের পাশাপাশি আরও দুই অজি ব্যাটসম্যান ফিফটি তুলে নেন।
২৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে অজি বোলারদের তোপে শ্রীলঙ্কার হয়ে কেউই বলার মতো স্কোর করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন দাসুন শানাকা। স্বাগতিক বোলারদের হয়ে স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার মাত্র ১০.৫ ওভারে ১২২ রানের জুটি গড়েন। ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি করা অধিনায়ক ফিঞ্চ ৩৬ বলে ৮টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৪ করে লক্ষণ সানদাকানের বলে বিদায় নেন। তবে উইকেটে অবিচল থাকেন ওয়ার্নার। ওয়ান ডাউনে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তিনি আরও ১০৭ রানের জুটি গড়েন।
শেষ ওভারে আউট হওয়া ম্যাক্সওয়েল ২৮ বলে ৭টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬২ করেন। আর ইনিংসের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূরণ করেন ওয়ার্নার। ৫৬ বলে তিনি ১০টি চার ও চারটি ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭১ ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি তারকার আগে ১৩টি হাফসেঞ্চুরি ছিল। ওয়ার্নারের অবশ্য আন্তর্জাতিকের বাইরে ৭টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৫ রান দেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল তুনাহান তুরান নামে তুরস্কের এক বোলারের। গত ৩০ আগস্টে তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭০ রান দিয়েছিলেন।
এদিকে ২৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়লেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির তালিকায় এটি ১৭তম স্থানে রয়েছে। চলমান বছরের ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তান ২৭৮ করে শীর্ষে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এমএমএস