ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কেউ ছিন্ন করতে পারবে না: ডা. রাজীব রঞ্জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কেউ ছিন্ন করতে পারবে না: ডা. রাজীব রঞ্জন ...

চট্টগ্রাম: ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের, যা কেউ ছিন্ন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।  

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ জিমনেসিয়াম মাঠে পঞ্চদশ শিশু কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১৭তম ওরস উপলক্ষে দশ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পরীক্ষিত।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত সহযোগিতা করেছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সমর যুদ্ধে অংশ নিয়ে অনেক ভারতীয় প্রাণ দিয়েছে। তাই দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক এত গভীর এবং হৃদ্যতাপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও দুই দেশের মানুষের মাঝে কোনো বর্ডার নেই। ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে বিশ্বাস করে। আর প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় সবার আগে। বাংলাদেশ ও ভারত এক সঙ্গে এগিয়ে যাবে অনেকদূর।  

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মানবিক কাজের প্রশংসা করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, মাইজভাণ্ডারী একাডেমি এবং সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে অবদান রাখছে। যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহায় ও মেধাবীদের সহযোগিতা, দরিদ্রদের মেয়ের বিয়েতে সহায়তা, আত্মনির্ভর করতে সহায়তাসহ নানা মানবিক কার্যক্রম। হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর একটি বাণী রয়েছে। সেই বাণী অনুযায়ী মাইজভাণ্ডারে সব ধর্ম ও জাতির মানুষ মিলিত হয়। এ ছাড়া মাইজভাণ্ডার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। কারণ সুফিবাদ সবসময় ঐক্য ও প্রেমের কথা বলে। প্রেমের মাধ্যমে পৃথিবী জয় করা যায়। যা মাইজভাণ্ডারী তরিকার মূলনীতি।

শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের নির্মাতা। তাই শিশুদের মানবিক গুণে বেড়ে ওঠার পথ ও স্বপ্ন দেখাতে হবে। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমৃদ্ধ মানুষ তৈরি করতে হবে। আজ ভীতি ও শঙ্কা নিয়ে শিশুরা বড় হচ্ছে চারপাশে আজ উৎপীড়ক ও প্রতিহিংসাপ্রবণ মানুষের অভাব নেই। এদের গ্রাস থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে। মাইজভাণ্ডারী একাডেমির এই আয়োজনে শিশুদের স্বপ্ন ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে নিঃসন্দেহে।

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সচিব এওয়াই এমডি জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অতিথি ছিলেন লায়ন গভর্নর সামসুদ্দিন আহমদ সিদ্দিক, মোসলে উদ্দিন, জাতীয় জাদুঘরের উপ পরিচালক ড. আতাউর রহমান, বোরখান উদ্দিন মোহাম্মদ আহসান, আলোকচিত্র শিল্পী শোয়েব ফারুকী, সৌরভ দাশ, মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহুর উল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর তরিকুল আলম প্রমুখ। পরে অতিথিরা বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার শিক্ষার্থী সমাবেশে অংশ নিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ 
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।