চট্টগ্রাম: গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার উদ্যোগে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ব ও পরবর্তী রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংলাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে রাউজান উপজেলা গণসংহতি আন্দোলন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটে একটি কনভেনশন হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার সংগঠক মো. মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে ও মো. হাবিবউল্লাহ রাসেলের সঞ্চালনায় গণসংলাপে অংশগ্রহণ করেন গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, গণসংহতি আন্দোলন উত্তর জেলার সদস্য সচিব জাহেদুল আলম আল জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ, বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।
গণসংলাপে বক্তারা বলেন, বিনা ভোটের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজান উপজেলাকে সারাদেশের মধ্যে বিনা ভোটের মডেলে পরিণত করেছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষের ভেতর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে, সেটার সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে কথা হচ্ছে। সেই বন্দোবস্ত হবে গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাই ছিলো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু প্রত্যেকটি সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার মূল্য কম দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটার জন্ম দিলেও তাদের অভিভাবক হতে দেয়া হয়নি। হাজারো শহীদের রক্তের ওউপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে আমরা সবাই মিলে বাস্তবে রূপায়ন করতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. আবুল বশর, হাসান মুরাদ শাহ, শিক্ষক মোহাম্মদ খসরু, ইলিয়াস তালুকদার, মোহাম্মদ আরিফ, নাজমুল হাসান আসিফ, রুবেল হোসেন, শুভাশিষ ভট্টাচার্য, স্বপন আচার্য গণসংলাপে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
এমআর/টিসি