চট্টগ্রাম: কালুরঘাট সেতুতে বিদ্যুতের তার চুরি হওয়ায় সেতুর বাতিগুলো জ্বলছে না। যার কারণে প্রায় ২৩ দিন ধরে অন্ধকারে ৯৫ বছরের পুরোনো এ সেতু।
স্থানীয়রা জানান, ৪৩ কোটি টাকা ব্যয় করে পুরোনো কালুরঘাট সেতু সংস্কার করে যান ও পথচারী পারাপারের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী রোববার রাত ১০ টার দিকে কালুরঘাট সেতু পার হয়ে বোয়ালখালী যেতে ভয় পাচ্ছেন। পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন সেতু, একটি সড়কবাতিও জ্বলছে না। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে এ সেতু গভীর রাতেও পার হয়েছি। এখন ভুতুড়ে পরিবেশ আগে কখনো দেখিনি। এখন সন্ধ্যার পর থেকে সেতু পার হতে ভয় করে।
জান আলী হাট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়রা অনেকেই আমাদের মৌলিকভাবে জানিয়েছেন। লাইটগুলো সচল করতে গত ৩১ আগস্ট রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, সংস্কারকালে সড়কবাতি রক্ষণাবেক্ষনসহ নিরাপত্তার দায়িত্ব ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের। দ্রুত সড়কবাতি চালুর জন্য ম্যাক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুনভাবে সংস্কারের পর পথচারীদের সুবিধার্থে ৩১টি স্ট্রিটলাইট স্থাপন করা হয়েছে কালুরঘাট সেতুতে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮০০ ফুট বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি হয়েছে।
সেতুর সড়কবাতিগুলো সচলের জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আমরা বাতিগুলো সচলের জন্য কাজ করছি। এ পর্যন্ত দুইবার ক্যাবল চুরি হয়েছে। আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, তবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।
বিই/পিডি/টিসি