ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে ২০২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি সমাবর্তনে কঠোর নিরাপত্তা, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:১১, মে ৮, ২০২৫
চবি সমাবর্তনে কঠোর নিরাপত্তা, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা মাবর্তনের পরিকল্পনা সাংবাদিকদের জানায় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই আগামী ১৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫ম সমাবর্তন। যেখানে অংশ নেবেন সাড়ে ২২ হাজার গ্রাজুয়েট।

সঙ্গে অতিথি এবং অভিভাবকসহ প্রায় ১ লাখ মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে।

চবির এই সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজসহ আরও ৪ জন উপদেষ্টা অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

আর তাই রাষ্ট্রীয় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসজুড়ে তাদের নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু করেছে।  
 
কবৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এর কার্যালয়ের সভাকক্ষে সমাবর্তনের বিস্তারিত পরিকল্পনা সাংবাদিকদের জানান সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৫ম সমাবর্তন কমিটির সদস্য-সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ তালুকদার, তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড. শহীদুল হক ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তন উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।  

সমাবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

দুপুর ১টার পরে কোনো সমাবর্তীকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দিবে না এসএসএফ। এমনকি লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ১টা বেজে গেলে বাকিরা প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। শেষ হবে বিকেল ৪টায়। এরমধ্যে অনুষ্ঠানস্থল থেকে কেউ বের হতে বা প্রবেশ করতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে মেডিক্যাল টিম, আইসিইউ এবং ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে। তবে বৃদ্ধ, নবজাতক ও শিশুদের না আনার অনুরোধ করেছে চবি কর্তৃপক্ষ।  

মোবাইল ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল প্রবেশ করা যাবে না। এমনকি নবজাতক শিশুর জিনিসপত্রও না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবুজ সংকেত না পেলে যেকোনো শিক্ষার্থীর সমাবর্তনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হতে পারে।

ওইদিন সকাল ৬টা থেকে শহরের নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ১০০টি বাস সমাবর্তীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসবে। সমাবর্তন শেষে এগুলো আবার শহরে ফিরে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে শাটল বাস সার্ভিস রাখা হবে। এর বাইরে কোনো গাড়ি সেদিন ওই রুটে চলাচল করতে পারবে না। শাটলবাসে অভিভাবকরাও চড়তে পারবেন।

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসলে ড্রাইভার নিয়ে আসার অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ ১ নম্বর গেটের ভেতরে কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য শহীদ মিনার, জারুলতলা, সায়েন্স ফ্যাকাল্টিসহ ৫টি পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখানো হবে। বিটিভিতে লাইভ সম্প্রচার হবে পুরো সমাবর্তন।

ক্যাম্পাসের খাবার হোটেল এবং ক্যান্টিনগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার রান্নার নির্দেশনা দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ। তবে ড. ইউনূস যেই রুটে যাতায়াত করবে সেই রুটের হোটেলগুলো দুপুর ১২টার পর বন্ধ করা হতে পারে। এছাড়া ১৩ মে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন অনুষ্ঠান শুরু হওয়া পর্যন্ত সমাবর্তন স্থলে সম্পূর্ণরুপে প্রবেশ নিষেধ।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠান শেষ গাউন জমা দিয়ে নিজ নিজ বিভাগ থেকে সনদ ও গিফট গ্রহণ করতে হবে। তবে সমাবর্তনে ২২ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও ১৭ জন এমফিল সম্পন্নকারীকে সনদ প্রদান করা হবে। এছাড়া সমাবর্তন উপলক্ষে চবির ঐতিহ্যবাহী শাটল ট্রেন রঙিন সাজে সাজানো হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৫
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।