চট্টগ্রাম: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতিচারণে স্মরণ সভা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় লালদীঘির চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে এ যৌথ আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের পিতা মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সভায় বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী এফসিএ, সদস্য ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মো. একরামুল করিম, সদস্য মাহবুবের রহমান শামীম, সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এম এ হালিম, সদস্য সচিব কামরুল হাসান হারুন, যুগ্ম সদস্য সচিব এমডি ফখরুল ইসলাম, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, গোলাম ফারুক, সোহরাব হোসেন সোহেল, সেলিম উদ্দিন, হাফিজ আল আসাদ, গিয়াস উদ্দিন, কামরুল মেহেদী, মামুনুর রশীদ, শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তব্যে আসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, শহীদ ফরহাদ হোসেন, চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামসহ জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিভাজনের কূটকৌশলে এই আত্মদান যেন ব্যর্থ না হয়, সে দিকে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে।
একরামুল করিম বলেন, আজ শহীদদের আত্মদানকে একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে ব্যতিব্যস্ত।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে যারা শহীদদের আত্মদানকে কলঙ্কিত করতে চায়, সেই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
সভায় শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ওয়াসিমসহ জুলাই শহীদদের আত্মদান যাতে বৃথা না যায়, সে জন্য সব পক্ষকে সহনশীল হয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।
এর আগে বিকেলে আসরের নামাজের পর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এতে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পিডি/টিসি