চট্টগ্রাম: ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহের বিষয়ে আগে নীতিমেলা ছিল না উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নীতিমালা না থাকায় যে যার ইচ্ছামতো টাকা নিত। এখন আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি বাসা প্রতি সর্বোচ্চ ৭০ টাকা।
দোকান, শিল্প-কলকারখানার একটা আলাদা রেট আছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে করপোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ষষ্ঠ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন মেডিকেল কলেজের সামনে আমরা উচ্ছেদ করছি। আমরা আগ্রাবাদে উচ্ছেদ করছি। আমরা যেগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া সেগুলো আমরা ধরেছি। আস্তে আস্তে সব জায়গা ধরব। আমরা তাদের আবার পুনর্বাসন যখন করব তখন তাদের আমরা পে-মার্কেটের আওতায় নিয়ে আসবো। বাজারের জায়গায় আমরা স্পষ্ট বলে দিয়েছি বাজার যেহেতু আমরা ইজারাদার দিয়েছি সেখানে কিন্তু এই শর্তটা থাকে যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব তাদের। কাজেই সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করে ময়লা সুনির্দিষ্ট জায়গায় এনে দেবে। আমার লোকজন গিয়ে সেটা সেকেন্ডারি গারবেজ স্টেশনে নিয়ে আসবে।
সভায় চিকনগুনিয়ার প্রকোপ বিষয়ে মেয়র বলেন, নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে আমরা আমরা ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছি। গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি৷ আমরা চাইছি জনগণকে সচেতন করতে, সম্পৃক্ত করতে। আমরা ৪১টি ওয়ার্ডে চসিক পরিচালিত স্কুল-কলেজে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।
ডেঙ্গু চিকেনগুনিয়া নিয়ে আমরা তো গতানুগতিক ধারায় যে প্রিভেন্টিভ মেজার সব নিয়েছি। রিসেন্টলি আমরা একটা মেডিসিন সংগ্রহ করেছি। খুব ইফেক্টিভ বলে আমরা মনে করছি কারণ আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দেখেছি সেটা কাজ করছে। মশা ধ্বংস করছে। এর বাইরে যেটা আমরা কেন চিকনগুনিয়া বেড়ে গেল সেটা নিয়ে গবেষণা করছি। আগের বছর ডেঙ্গু বেড়ে গিয়েছিল চিকনগুনিয়া কম ছিল। এ বছর চিকনগুনিয়া বেড়ে গেল ডেঙ্গু কমে গেল। দুইটাই কিন্তু ভাইরাল ডিজিজ। ফাইনালি রিসার্চ করতে করতে পাওয়া গেল ডেঙ্গু অলরেডি এটা ইমিউনাইজড হয়ে গেছে। ডেঙ্গু হতে হতে ডেঙ্গুর চিকিৎসা এটা ইমিউনাইজড হয়ে গেছে। এজন্য ডেঙ্গু কমে গেছে। চিকুনগুনিয়া নতুন করে বেড়ে গেছে। এটা জাস্ট একটা রিসার্চের একটা হয়তোবা ইন্টারপ্রেটেশন হতে পারে। আরো হয়তো কারণ থাকতে পারে। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক-গবেষকদের সমন্বয়ে চিকনগুনিয়ার এ ধরনের বিস্তৃতির বিষয়ে গবেষণা করে কারণ উদঘাটনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি শিগগির গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা যাবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: শেখ ফজলে রাব্বি, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, কোতোয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রধান প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএমএন জামিউল হিকমা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম মামুনুল বশরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এআর/পিডি/টিসি