চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন এই পদে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তিন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন তারা।
অভিযোগ করা এই তিন প্রার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল নেছা, মহিমা আকতার এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকিব।
অভিযোগে তারা বলেন, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের প্রহসন ও উদ্দেশ্যমূলক স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে আমরা বলতে চাই।
মোট ৪৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে ১৩ জন্য প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট ২৯ জনের প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। যাদেরকে লিখিত পরীক্ষার পর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রেজেন্টেশন ও ভাইভার জন্য নির্বাচিত করা হয়নি।
প্রার্থীদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও পরীক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক. ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. মমতাজ উদ্দিন কাদেরী এ কাজ করেছেন। তাছাড়া ফারসি বিভাগের পরীক্ষা হলেও চবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের কোনো শিক্ষককে ওই নিয়োগ বোর্ডে রাখা হয়নি।
ফারসি ভাষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব বলেন, নিজস্ব বিভাগের প্ল্যানিং বহির্ভূত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক অনুমোদন না থাকার পরেও স্ব-প্রণোদিতভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পূর্ব থেকে নির্ধারিত প্রার্থীদের নিতে প্রহসনমূলক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য প্রার্থীকে ড. মো. কামাল উদ্দিনের এমফিল এর ছাত্র হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইবার জন্য উত্তীর্ণ করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একাধিক ফ্যাকিল্টি ফার্স্ট এবং ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট এবং যোগ্য প্রার্থীদেরকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অনুত্তীর্ণ করা হয়েছে।
এমআর/পিডি/টিসি