চট্টগ্রাম: বিশ্ব যখন করোনার ভয়াবহ থাবায় আতঙ্কিত, তখন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে এক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। যার নাম করোনা প্রতিরোধক বুথ।
এ বুথ থেকে লাখ লাখ মানুষ পেয়েছেন বিনামূল্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার সেবা। গত বছর মে মাসে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ অর্থ-সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর প্রথমবারের মতো নগরের বিভিন্ন এলাকায় চালু করেন এ বুথ।
সাম্প্রতিক সময়ে শনাক্ত হওয়া করোনার ধরন ‘অমিক্রন’ ঠেকাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ব্যতিক্রমী সেই ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’। তাই পুনরায় বুথ স্থাপন করে পথচারীদের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করার ওপর জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ‘অমিক্রন’ এর মহামারি ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। এসময় সাধারণ জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ দুটি জিনিস সহজলভ্য করতে করোনা প্রতিরোধক বুথের বিকল্প নেই। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তবেই করোনা মহামারির ভয়াল থাবা থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।
হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় জরুরি উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদরা। এটিএম বুথের আদলে তৈরি এই বুথ ব্যবহার করে দ্বিতীয় ব্যক্তির সহযোগিতা ছাড়া ‘সেল্ফ হেল্প’ এর মাধ্যমে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারবে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই বুথ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার পাবে সকলে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার এক ভয়াবহ রূপ দেখেছে পৃথিবী। করোনার শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার সচেতন ছিল বলে বাংলাদেশ অনেকাংশে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া এই মহামারীতে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কখনও মাস্ক, কখনও খাবার, কখনও মরদেহ দাফন করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
‘সামনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের ন্যায় আমরা এখনও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। মহামারি লাগবে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২২
এসি/টিসি