ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভেসে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসের ২ যাত্রী নিহত

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১২

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ফুলকুসমায় বৃহস্পতিবার ভয়াবহ হড়কা বানে ভেসে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসে প্রায় ৮০ জন যাত্রী ছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনকে উদ্ধার করা গেছে।



বাকিদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ২ নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

দুপুর দেড়টা নাগাদ বাঁকুড়ায় রাইপুর ও ফুলকুসমার মাঝে ভৈরববাঁকি নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ এ দুর্ঘটনায় ২ জনের  মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে বর্ধমানগামী বাসটির উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খোঁজ নেই অন্য যাত্রীদের৷

নিখোঁজদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও মহিলা রয়েছে বলে জানা গেছে৷ ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার ও মহকুমা শাসক৷ বৃষ্টির জন্য ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ৷ সেই সঙ্গে দিনের আলো কমে রাত নেমে আসায় উদ্ধার কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

দুর্গাপুর থেকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বাঁকুড়া সদর এবং ঝাড়গ্রাম দু’দিক থেকেই এলাকার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে উদ্ধারকাজ। এমনকি, উদ্ধার করা যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল ভৈরববাঁকি নদীর জলস্তর।   যাত্রী নিয়ে বাঁকুড়ার রাইপুর ও ফুলকুসমার মাঝে নদীতে ভেসে যায় বাসটি৷ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ভৈরববাঁকি নদীর ওপর থাকা সেতুটি প্রায় মিশে গিয়েছিল নদীর সঙ্গে৷

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সেতুর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল ঝাড়গ্রাম থেকে বর্ধমানগামী বেসরকারি বাসটি৷ সেতুর  প্রান্ত বুঝতে পারেননি চালক৷ এরপরই নদীর হড়কা বানের প্রবল স্রোতে ভেসে যায় বাসটি৷

বৃষ্টির পানি ক্রমাগত বাড়ার ফলে চারদিক দিয়ে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঘটনাস্থল। এলাকার প্রায় প্রতিটি রাস্তায় ৭ থেকে ৮ ফুট পানি জমে রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত উদ্ধারের কাজে হাত লাগান৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়পুর থানার পুলিশ৷ জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার উদ্ধারকাজের তদরাকি করেন৷ উদ্ধার হন বেশ কয়েকজন যাত্রী৷ তাদের রাইপুর ও ফুলকুসমা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়৷

উদ্ধারকাজে যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলায় দলের বিধায়ক ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ পাশপাশি, স্থানীয় যে বাসিন্দারা উদ্ধারের কাজ হাত লাগিয়েছেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানান তিনি৷ মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভেসে যাওয়া বাসটিতে কেউ আটকে নেই বলে জানা গেছে।

বুধবার থেকেই বাঁকুড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৭.২ মিলিমিটার। বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় হড়কা বান আসে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।