ইন্ডিগো বিমানে সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় আসেন মোহাম্মদ আশরাফুল (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। কলকাতা থেকে সংযোগকারী বিমানে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল।
মূলত, যারা ভায়া কলকাতা হয়ে একদেশ থেকে অন্য দেশে যান, তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। যাকে বলা হয় আন্তর্জাতিক ট্রানজিট পয়েন্ট। সেখান থেকে বিদেশি যাত্রীরা বেরোতে পারেন না। আশরাফুলের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। কলকাতায় অবতরণ করলেও ভারতের ভিসা ছিল না, ফলে তাকে নির্দিষ্ট ট্রানজিট পয়েন্টে অপেক্ষা করতে হয়।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দুপুরে আশরাফুল যখনই ওই স্থানের কাঁচের দেয়াল ভেঙে টার্মিনালের অন্য প্রান্তে দিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর পৌঁছে যায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা 'সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কাছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এসে ধরে ফেলেন আশরাফুলকে। যদিও তার আগেই ধাক্কা দিয়ে কাঁচ ভাঙার ফলে, হাত কেটে যায় ওই যুবকের, রক্তক্ষরণ হয় তার। পরে বিমানবন্দরের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা করানো হয় তাকে। পরে অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিটের ব্যবস্থা করে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর থানার পুলিশের হাতে। ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আশরাফুলকে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে বাসিন্দা আশরাফুল। কাজের সূত্রেই তিনি সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ভারতের ভিসা না থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি কলকাতায় ঢুকতে চাইছিলেন তা শুক্রবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর ওই যুবকের বেশ কিছু কথাবার্তা সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন, কোনোভাবে আচমকার শক পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারেন আশরাফুল।
ভিএস/এএটি