আগরতলা (ত্রিপুরা): সুষ্ঠু শিল্প-সংস্কৃতির “শবযাত্রা” বের করেছেন ত্রিপুরার রাজধানী অঅগরতলার শিল্পীরা।
অভিনব কায়দায় ‘অল ত্রিপুরা আন এমপ্লয়েড ডিগ্রি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ শুক্রবার রাজধানীতে এ মিছিল করে।
বিভিন্ন সময়ে ইন্টারভিউ গ্রহণ করেও রাজ্য সরকার চাকরি দিচ্ছে না। এ অভিযোগ তুলে রাজধানীর রাজপথে নেমেছিলেন চিত্রশিল্পীরা।
চিত্রশিল্পীরা ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে তাদের এ আন্দোলন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাজ্য শিক্ষা দফতর কর্তৃক বিজ্ঞাপিত ২০০২, ২০০৬ ও ২০০৯ সালের জবফর্মের ইন্টারভিউ নেওয়া বেকার চিত্রশিল্পীদের সিনিয়রিটি অনুযায়ী নিয়োগপত্র প্রদান করা।
এছাড়া রয়েছে, অবিলম্বে শিক্ষা দফতর পরিচালিত সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভিজুয়্যাল আর্টস বিষয় চালু করে ডিগ্রিপ্রাপ্ত (অনার্স) বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা, বয়সোত্তীর্ণ বেকার চিত্রশিল্পীদের রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং জব ফর্ম থেকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ভিজুয়্যাল আর্টস বিষয় শিক্ষক নিয়োগ করা ইত্যাদি।
বিকাল ৪টায় সুকান্ত একাডেমি থেকে তাদের এ মিছিল শুরু হয়।
রাজ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সমস্ত মন্ত্রী এবং নেতাদের মুখোশ ধারণ করে “সুষ্ঠু শিল্প সংস্কৃতির” শবদেহ কাধে নিয়ে এ মিছিল করে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
গত ৩ আগস্ট একই দাবিতে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা মুখে কালো কাপড় এবং গলায় দড়ি বেঁধে রাজধানীর রাজপথে মৌন মিছিল করেছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি পূরণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
যার ফলে অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সরকার কর্তৃক সুষ্ঠু শিল্প-সংস্কৃতির ‘শবযাত্রা’ বের করে। শবযাত্রাটি শেষ হয় দশমীঘাট এলাকায়।
উল্লেখ্য, বেকার চিত্রশিল্পীদের দাবির সমর্থনে রাজ্যের শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে এখনও কেউ এগিয়ে আসেননি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিষয়টি নিয়ে সরকারও বেশ বেকায়দায় আছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনের আগে এ ধরনের আন্দোলন রাজ্য সরকারকে বিব্রত করে তুলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
