আগরতলা (ত্রিপুরা): শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে পালাটানা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরীক্ষামূলক উৎপাদন। ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ওটিপিসির ইঞ্জিনিয়াররা সফলতার সঙ্গেই এদিন পরিক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হন বলে জানা গেছে।
প্রথমদিন প্রায় ৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ওটিপিসির কর্মকর্তাদের মতে ধীরেধীরে তা বৃদ্ধি পাবে।
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন ওটিপিসি কর্তাগণ।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পালাটানায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ায় বেশ খুশি মন্ত্রী থেকে আধিকারিক সবাই। এ যেন এক যুদ্ধ জয়ের পরের অবস্থা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছিলেন, শারদোৎসবেই মিলবে পালাটানার বিদ্যুৎ।
বর্তমানে গোটা ভারত জুড়ে চলছে প্রচণ্ড বিদ্যুৎ সংকট। বাদ যাচ্ছে না ত্রিপুরাও। এরই মধ্যে শারদোৎসবের আগে অর্থাৎ অক্টোবরের আগে পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করার ঘোষণা এক বিরাট ব্যপার ছিল। এই ঘোষণা অন্ধকারের মধ্যে আলোর রেখার মতো।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হবে বাণিজ্যিক উৎপাদন।
পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
গোটা প্রকল্পটি হচ্ছে গ্যসভিত্তিক। গ্যাস উৎপাদক সংস্থা ওএনজিসি সম্পূর্ণ গ্যাস সরবরাহ করবে এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে।
৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় ২০০৫ সালে। পালাটানার ২০০ একর জমিতে এখন শুধু মানুষ আর মেশিনের ব্যস্ততা। সময়ের প্রতীক্ষা।
শুধু ত্রিপুরার মানুষ নন। বাংলাদেশের মানুষও তাকিয়ে আছেন ত্রিপুরার এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের দিকে। ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে এখান থেকে। উৎপাদিত বিদ্যুতের বড় অংশই যাবে বাইরে। বাংলাদেশেও এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা চলছে। তাছাড়া এই প্রকল্প নির্মাণের জন্য বেশিরভাগ ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে। বাংলাদেশ সরকার প্রকল্প নির্মাণে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিরাট অবদান রয়েছে। কারণ, সমস্ত ভারী যন্ত্রপাতি এসেছে বাংলাদেশ দিয়ে। এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে বিক্রি করার ব্যাপারে কথা বার্তা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর