কলকাতা: প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), ডিজেলের দামবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাস-সিলিন্ডারে ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী জোট বামফ্রন্টের ডাকা ১২ ঘণ্টার হরতালে সকাল থেকেই রাজ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
কলকাতার প্রধান সড়কগুলোতে কিছু সরকারি বাস চললেও কোনো বেসরকারি বাস দেখা যাচ্ছে না।
সকাল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শাখার গুমা, অশোকনগর, মছলন্দপুর স্টেশনে অবরোধ চলছে। অবরোধ কাজিপাড়া, মধ্যমগ্রাম, বিশরপাড়া স্টেশনেও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার শাখার বামুনডাঙা স্টেশনেও অবরোধ রয়েছে। অবরোধ নদীয়ার রাণাঘাট শাখায়। অবরোধের কারণে আটকে আছে হাওড়া-রাঁচি ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস ট্রেন। বর্ধমানের কাটোয়া, জৌগ্রাম, আজিমগঞ্জ স্টেশন। কালনার বাগনাপাড়া স্টেশনে চলছে বামেদের অবরোধ।
হরতালের প্রভাব পড়েছে দমদম বিমানবন্দরেও। সকালে দুটি বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে গাড়ি-বাস বলা চলে ছিলই না।
হরতাল চলার সময় বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্ত সংর্ঘষের খবর পাওয়া গেছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে নৈহাটিতে। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে পিকেটার পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছেন নারীসহ ১২ জন বলে জানা গেছে।
হরতালে ভালো সাড়া পূর্ব মেদিনীপুরেও। সেখানে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। চলছে না বেসরকারি বাস। স্তব্ধ হলদিয়া শিল্পাঞ্চল। রাজ্যের শিল্পাঞ্চল গুলিতেও হরতালের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দুর্গাপুর, ব্যারাকপুর, কল্যাণী শিল্পাঞ্চলেও হরতালের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
জনজীবন স্তব্ধ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও। রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস। হাতে গোনা সরকারি বাস, গুটিকয়েক অটো চলাচল করছে। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ চা বাগান। কাজে আসেননি শ্রমিকরা।
তারাতলা শিল্পাঞ্চলে কারখানার গেটে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে সিটু। পিকেটিং করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ্রমিকরা। হরতালে অনুপস্থিতি নিয়ে বরখাস্তের হুমকি জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। রয়েছে বেতন কাটারও নির্দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: শাহিদুর রহমান শাহিদ/আহমেদ জুয়েল ও রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর