কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের নারীদের মধ্যে জামদানির শাড়ির ব্যাপক চাহিদার কথা ভেবে এবার কলকাতার পার্ক সার্কাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে জামদানি মেলা।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সপ্তাহব্যাপী এই মেলার ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের এমপি ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামদানি প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি এম আর মোশতাক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিষ বসু, উপহাইকমিশনার আবিদা ইসলাম, রাজ্য বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বসু প্রমুখ।
এম আর মোশতাক এদিন বলেন, দুর্গা পূজা উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন। কলকাতায় জামদানি বরাবর চাহিদা আছে। তাই এই মেলা। শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবী, চুড়িদার পাওয়া যাবে।
শুভাশিষ বসু বলেন, “সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে এই ধরনের মেলা প্রয়োজনীয়তা আছে। আমরা এবার ভারতে প্রায় ৭টি মেলায় অংশ নিচ্ছি, অতীতে এতো মেলায় আমরা অংশ নিইনি। ”
পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, “এই মেলায় আমাদের উৎসাহ বাড়াবে বাংলাদেশি পণ্য কিনতে। ইলিশ আর জামদানি, রসনা আর পরনের চাহিদা মেটায়। এর প্রচার আরও দরকার। এটা মেলা নয়, সম্প্রতির বন্ধন। শুধু বাঙালি নয়, যারাই শাড়ি পড়ে তারা জামদানি কেনে। ”
জিএম কাদের বলেন, এই মেলায় দুই পারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে। যা দ্বীপক্ষীয় বাণিজ্যকে উন্নত করবে বলে আমি আশাবাদী। জামদানির ঐতিহাসিক ও গুণগত ঐতিহ্য আছে। জামদানি আর বাংলাদেশ আজ সমার্থক। ”
বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ইকনমিক জোন সরকারের চিন্তায় রয়েছে বলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের নতুন ধারায় ভারতীয়রা অংশ নেন।
পরে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কলকাতা স্থায়ী বাংলাদেশের পণ্য বিক্রয়ের কেন্দ্র প্রয়োজন।
তিস্তার পানি নিয়ে তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। ”
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেন, “আমাদের দল একক অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এর কারণে বর্তমান সরকারের কাজকর্মে আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। ” এদিন মেলা মঞ্চে একটি ফ্যাশান শো অনুষ্ঠিত হয়।
এই মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ২৬টি স্টল হয়েছে।
প্রতিদিন এই মেলা বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দর্শকরা প্রবেশ মূল্য ছাড়াই মেলায় আসতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর