ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভরা মৌসুমেও চড়া ফলের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
ভরা মৌসুমেও চড়া ফলের বাজার ছবি- মাসুম কামাল

ঢাকা: বৈশাখ প্রায় সমাগত। দুয়ারে কড়া নাড়ছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ।

অন্য মাসের তুলনায় এই দুই মাসে বাজারে ফলের উপস্থিতি থাকে বেশি, আছেও। কিন্তু দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ফলের বাজার ঘুরে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দেশি-বিদেশি ফলের যোগান থাকলেও, দামটা নাগালের বাইরে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের পর তরমুজের দাম কিছুটা কমলেও, সেটি এখনো বেশিই। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজের দাম এখনো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

এছাড়া আঙুর, মালটা, নাশপাতি, আপেলের দাম কিছুটা কমলেও তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

এর কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে দাম না কমায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে ক্রেতাদের মতে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই অস্থিতিশীল ফলের বাজার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেতারা জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে ফলের বাজার অস্থিতিশীল। উৎপাদক ও আমদানী পর্যায় থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত তদারকি না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। সরকারের সহযোগিতা থাকলে মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করেন ভোক্তারা।

যাত্রাবাড়ী ফলের বাজারে তরমুজ দরদাম করছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখন ফলের মৌসুম, তবুও এতো দাম কেনো? এটা মূলত বাজার তদারকির অভাবে হয়েছে।

অপর ক্রেতা শরীফ আহমেদও বলেন একই কথা। তিনি বলেন, মূলত মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্যই ফলের দাম বেশি। আমি সাপ্লাই চেইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বাংলাদেশে যে কোনো পণ্যের দাম বেশি হওয়ার কারণও এটাই।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া ফলের আড়তের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়েও দাম বেশি ফলের। মাঝখানে আবার ফড়িয়া আছে, পরিবহন খরচ দিতে হয়। সব মিলিয়ে দাম বেশি পড়ছে। আমরাও নিরুপায়।

মান ও স্বাদভেদে বাজারে আঙুর ২৫০-৩০০ টাকা, আপেল ২৮০-৩২০ টাকা, গালা আপেল ২৫০ টাকা, মালটা ১৮০ টাকা, ড্রাগন ফল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশী ফলের মধ্যে আনারস প্রতি পিস ৫০-১০০ টাকা, পেয়ারার কেজি ৬০-৮০ টাকা, লটকন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা এবং সবরি কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

মৌসুমি ফলের মধ্যে আমের দাম স্বাদ, আকৃতিভেদে ১৫০-২০০ টাকা, কাঁঠাল আকৃতিভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, জাম প্রতি কেজি ১৫০-১৮০ টাকা, লিচু ১০০ পিস ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে, এই বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে মৌসুমি ফলের সরবরাহ আরও বাড়লে স্থিতিশীল হবে ফলের বাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
এমকে/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।