ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হিলিতে ক্রেতা নেই, গুদামে পেঁয়াজের কেজি ১০ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১১, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
হিলিতে ক্রেতা নেই, গুদামে পেঁয়াজের কেজি ১০ টাকা

দিনাজপুর: দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির পর পেঁয়াজের দাম কিছু টাকা কমতে থাকলেও ভারত সরকারের নতুন শুল্কায়নে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

ফলে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বাজারে। তার ওপর আবার তীব্র গরমে গুদামজাতকৃত এসব পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।  

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এসব পচা পেঁয়াজ ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে ভালো মানের ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা আজিজার রহমান আজিজ বলেন, হিলি থেকেই সচরাচর পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাই। এখানে ভালো পেঁয়াজ ৪২-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গুদাম ঘরে কিছু পেঁয়াজ পচে গেছে। পচা পেঁয়াজ থেকে যেসব পেঁয়াজ বাছাই করা হয়েছে, সেগুলো ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।  

রংপুরের বদরগঞ্জ থেকে আসা রুপম ইসলাম বলেন, হিলিবাজারে বাছাইকৃত কিছু পেঁয়াজ ভালো দামে বিক্রি হলেও পচা পেঁয়াজগুলো কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ইন্দোর ও নাসিক জাতের কিছু ভালো পেঁয়াজ কিনেছি। পচা পেঁয়াজ থেকে বাছাইকৃত কম দামের কিছু পেঁয়াজ কিনেছি। এখানে বেশ কয়েকটি গুদাম ঘরে ঘুরেছি। অনেকেরই পেঁয়াজ পচে যেতে শুরু করেছে।  

পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে হঠাৎ করে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ নতুন শুল্কায়ন আরোপ করে। এতে করে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে। এদিকে রোদ আর তীব্র গরমে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। এক ট্রাকের পেঁয়াজের ৫ ভাগের ২ ভাগ পেঁয়াজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।  

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, নতুন শুল্কায়নে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য তাই আমদানি করা পেঁয়াজগুলো দ্রুত খালাস করে বাজারজাত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে।  

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ৬ কার্য দিবসে ১৮৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৫ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন ইন্দোর, নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।  

এছাড়া গত আগস্ট মাসে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৯৪০ ট্রাকে ৩০ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।