প্রস্তাবিত বাজেটে সংকট উত্তরণের যথেষ্ট উদ্যোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সুগভীর চিন্তার ভিত্তিতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত 'সানেম বাজেট পর্যালোচনা ২০২৪-২৫' শীর্ষক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সানেমের পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।
সেলিম রায়হান বলেন, এ ধরনের লক্ষ্য অর্জনে যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার দরকার, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেই। ৩২ বিলিয়ন ডলারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ বৃদ্ধির উৎসগুলো কি, সেটা বাজেটে বলা নেই।
তিনি বলেন, আশপাশের অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারলেও বাংলাদেশ পারছে না। কারণ দীর্ঘদিন সুদহার এক জায়গায় ধরে রাখা হয়েছে। যা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সুদহার বাড়ালে চাহিদা কমে আসে। কিন্তু সুদহার দেরি করে বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে চাহিদা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে প্রত্যক্ষ করে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে, সহজ কর আদায়ের পথ পরোক্ষ করের বিস্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরোক্ষ করের বিস্তার মূল্যস্ফীতির জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।
সায়মা হক বিদিশা তার পর্যালোচনায় বলেন, এক বছর আগের তুলনায় এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, বিনিময় হার, বিনিয়োগ, রপ্তানি, আমদানির অবস্থা ভালো নয়। রেমিট্যান্সসহ দুয়েকটি সূচক স্থিতিশীল থাকলেও তা সন্তোষজনক নয়। রিজার্ভের নেতিবাচক প্রবণতা, টাকার মান কমে যাওয়ার মতো সামষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ স্থবির। রাজস্ব আহরণও স্বস্তিকর নয়।
তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তায় নতুন মানুষকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএসের মাধ্যমে বেশি মানুষকে সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে কিছু স্বস্তি দেখা যাবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও বেশ কিছু জায়গায় কাজ করার ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা,জুন ৮, ২০২৪
জেডএ/এমএম