ঢাকা: দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক বিদায়ী অর্থ বছরে রপ্তানি আয়ে ভালো করতে পারেনি। নির্দিষ্ট কিছু দেশে রপ্তানি কমেছে।
প্রশ্ন: সবশেষ তথ্য বলছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপে রপ্তানি কমেছে, যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে। এটা কী বার্তা দিচ্ছে?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ট্রেন্ড চেঞ্জ হয়েছে। এ মুহূর্তে দামের চেয়ে পণ্যটি দ্রুত পাওয়া ও নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নির্ভরযোগ্যতা খুবই শক্তিশালী ছিল; যথাসময়ে শিপমেন্ট ৯২ শতাংশের ওপরে ছিল। গত এপ্রিল ও মে মাসে যথাসময়ে শিপমেন্টের ব্যাপক পতন হয়েছে। এখন ৯০ এর নিচে নেমে এসেছে। কমার দুটি কারণ। প্রথমত, শিপমেন্ট সময়মতো জাহাজিকরণ করতে না পারা। আগে যেটা আমাদের ছিল। বাংলাদেশে যত সমস্যা হোক আমরা সময় মতো শিপমেন্ট করেছি। এটা আমাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি ছিল। শ্রমিকরাও কাজ করেছে। কিন্তু সেটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি।
দ্বিতীয়টি হলো, এপ্রিল ও মে মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাই, আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যা ছিল, গ্যাস সমস্যা ছিল। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট ও ওভেন দুই খাতেই আমরা সাফার করেছি। কারণ যে সব নিটওয়্যার ডায়িং করতে হয়, সুতা ডায়িং করতে হয়, কাপড় ডায়িং করতে হয়—এগুলো করতে পারেনি জ্বালানি সমস্যার কারণে। আর গার্মেন্ট কারখানাতে আমরা ওয়াশিংয়ের কাজ করি প্রচুর পরিমাণ। ক্যাজুয়েল ড্রেস বানাই, এখানে আমাদের ওয়াশিং প্ল্যান্টগুলো ২৪ ঘণ্টা চালাতে হয়। এই ২৪ ঘণ্টা চালাতে গত দুই মাসে ১০ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকেনি। যদি ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে কী অবস্থা হয় বুঝুন!
হ্যাঁ, জেনারেটর আছে। এগুলো ব্যাকআপ জেনারেটর। ব্যাকঅ্যাপ জেনারেটর তো একটানা চার ঘণ্টা চলবে না। চার ঘণ্টা চললে এক ঘণ্টা রেস্ট। আবার চার ঘণ্টা চলার পর দুই ঘণ্টা রেস্ট দিতে হয়। সেই খরচ অস্বাভাবিক।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কারণে উৎপাদনের যে সক্ষমতা ও লক্ষ্য তা পূরণ করতে পারিনি, আমাদের শিপমেন্টের ডেট মেন্টেইন করতে পারিনি। আকাশ পথে শিপমেন্ট করতে হয়েছে। আকাশ পথে যাওয়ার কারণে তারা আমাদের সম্পর্কে সচেতন হয়ে গেছে। কারণ বায়ারের কাছে দামের চেয়ে বেশি জরুরি সময়। তারা এক ডলার কম দিয়ে দেরিতে পণ্য নেওয়ার চেয়ে এক ডলার বেশি দিয়ে ঠিক সময়ে পণ্য নেবে।
এ কারণে ভিয়েতনাম, ভারত, শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়া—এই চারটি দেশের রপ্তানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর আমাদের কমেছে। শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপেও আমাদের রপ্তানি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই চারটি দেশের রপ্তানি বেড়েছে। কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রে দেশ চারটির ডিউটি ফ্রি-র কোনো বালাই নেই। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা ভিয়েতনামে বেশি গেছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ভালো একটি লেনদেন ও বোঝাপড়া আছে। যদিও ভিয়েতনামে শ্রমিকদের স্যালারি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। ভিয়েতনামে একই গার্মেন্টে পিস প্রতি সিএম (কাটিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট) এক ডলার বেশি দিতে হয়। তারপরও তারা সেখানে যাচ্ছে। কারণ হলো রিলায়েবিলিটি ও লিড টাইম।
প্রশ্ন: এই লিড টাইমের পরীক্ষা শুধু বাংলাদেশই দেয়, যে চার দেশের কথা বলছেন তাদের দিতে হয় না?উত্তর: হয়। ভিয়েতনাম থেকে সব জাহাজ যুক্টরাষ্ট্রে সরাসরি ভেড়ে। তাদের কোন ইনডিরেক্ট ভ্যাসেল নেই। আর আমাদের এখান থেকে সব ইনডিরেক্ট ভেসেল। এই লিড টাইম লোহিত সাগরের কারণে বেড়ে গেছে। লিড টাইম ভিয়েতনামেরও আছে। সরাসরি ভেসেল হওয়ার কারণে তাদের সমস্যা কম হয়, আমাদের বেশি হয়। এতে তারা ১০ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ২০ দিন আগে পণ্য পৌঁছাতে পারে। এই তিন সপ্তাহ কম পাওয়ার কারণে কার্যাদেশ ভিয়েতনামে গেছে। শ্রীলংকা ও ভারতের একই সুবিধা আছে। তারা রপ্তানির জন্য সেসব সুবিধা পাচ্ছে।
প্রশ্ন: পরিস্থিতি যা, আগামীতে কি কমবে বলে মনে করছেন?
উত্তর: এই অসুবিধাগুলো কমবে না বরং আরও প্রলম্বিত হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি রপ্তানি খুবই নেতিবাচক। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমাদের যে ইতিবাচক ধারা ছিল, সেটা আমরা হারিয়েছি। আমরা যদি এসব বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের অর্ডারের ঘাটতি নেই। আমরা তো ক্যাপাসিটির ২০ ভাগ বেশি বুকড করি। তারপর আমরা ওভার টাইম করিয়ে, ক্যাপাসিটি বাড়িয়ে শিপমেন্ট করি। কিন্তু আমরা যদি অর্ডার নিয়ে তা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে সে অর্ডার চলে যাবে। এখন যেটা হয়েছে ১০০ ভাগের জায়গায় ৮০ ভাগ অর্ডার নিতে হচ্ছে।
তারপর রয়েছে ব্যাংকি ঝামেলা। বন্ড ও কাস্টমের ঝামেলা। আগে তারা আমদানি করার সময় ঝামেলা করতো। এখন ঝামেলা করে রপ্তানির সময়।
প্রশ্ন: কাস্টমস?
উত্তর: হ্যাঁ। একটি কার্টনের ওজন ৫ থেকে ১০ ভাগ কম বেশি হতেই পারে। যে ফেব্রিক্সটি দিয়ে পোশাক তৈরি করছি তার ওয়াশ করতে হয়, তার তুলার ওজন, সুতার ওজন, অন্যান্য অ্যাক্সেসোরিসের ওজনের একটু তারতম্য হতেই পারে। শতভাগ হবে না। কোন কোন ফেব্রিক্সের বৈশিষ্ট্য আছে পণ্য প্রস্তুত করার পর পলিথিনে ঢোকানোর পর তা রেখে দিলে ওজন কিছুটা বাড়ে। কিন্তু ওজনে সামান্য এদিক সেদিক হলেই তারা আটকাচ্ছে। আসলে আটকানোর কোনো কারণ নেই। এক্সপোর্ট বাউন্ড গুডস আটকানোর কী কারণ আছে, কোনো কারণ নেই। জাস্ট দে ফাইন্ডিং অ্যানাদার ওয়ে... এক্সট্রা মানি।
প্রশ্ন: এই বিষয়গুলো তো...
উত্তর: এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাস্টমসের কমিশনারকে বলি। তাদের সাথে ঝগড়া করে আসলাম। এক্সপোর্ট বাউন্ড পণ্য আপনারা কেন ঠেকাচ্ছেন? তারা প্রতিটি পার্সেন্টেজ চেক করে। আমাদের যখন অর্ডার আসে তখন একরকম থাকে। যখন পণ্য প্যাক্টিক্যালি তৈরি করি তখন ওজনের তারতাম্য হতে পারে। সেটা বায়ায়ের সাথে বোঝাপড়া হয়। কোন সময় আমদানি করা কাঁচামালের বাইরেও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করে পোশাক তৈরি করা হয়। এগুলো সবই ক্রেতাদের সাথে আলোচনা করে করা হয়। বায়ার মানে কিন্তু কাস্টমস মানবে না না। এর ফলে এসব পণ্য রপ্তানিতে দেরি হয়। অনেকগুণ খরচ বাড়িয়ে আকাশ পথে রপ্তানি করতে হয়।
যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ রপ্তানি বাড়ানোর জন্য মরিয়া, তারা নানারকম সুবিধা দিয়ে রপ্তানি বাড়াচ্ছে। সেখানে আমাদের এখানে নানারকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সেখানে জমি ফ্রি, বিদ্যুতে ৪০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে, ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মজুরিতে। এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে। আর আমাদের করা হচ্ছে উল্টো।
প্রশ্ন: এই যে কাস্টমসের কথা বলছেন, এগুলো কি আগে ছিল না, এখন হয়েছে বিষয়টি এমন?
উত্তর: আগে ছিল না। হ্যাঁ, আগে আমাদের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ছিল আমদানির সময় বন্ড সুবিধা নিয়ে কাপড় এনে বিক্রি করতো; এমনটা ছিল। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।
একজন কর্মকর্তা কাস্টমসে ছিলেন। তারপর মেম্বার হলেন। তারপর ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হলেন। তার বিরুদ্ধে যত সম্পদের মালিক হওয়ার প্রমাণ আসছে, এমন টাকা শিল্পপতিদেরও নেই। তিনি কীভাবে এত টাকার মালিক হন?
প্রশ্ন: আগামীতে কেমন দেখছেন?
উত্তর: আগামী নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। যুক্তরাষ্ট্র একবার যায়, আবার চলে আসে। কিন্তু ইউরোপ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। ইউরোপের ক্ষেত্রে চলে গেলে আমরা সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়ব। জার্মানি আমাদের সবচেয় বড় রপ্তানি সোর্স, সেখানে রপ্তানি কমে গেছে। আগামীতে সংকট দূর হবে তার লক্ষণ দেখছি না।
শ্রীলংকা তৈরি পোশাক শিল্পে আবার ফিরে আসছে, ভারত তাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এসব বিষয় আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইয়ংওয়ানের মতো প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশে থেকে বিনিয়োগ করে না; তারা এখন ভারতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। তার কারণ হলো সেখানে সুবিধা পাচ্ছে।
প্রশ্ন: ইয়ংওয়ানের বড় বিনিয়োগ বাংলাদেশের ইপিজিডগুলোতে আছে, সেগুলোও তো কমিয়ে ফেলবে? বাংলাদেশের রপ্তানি আরও কমবে?
উত্তর: অবশ্যই। ইতোমধ্যে তো কমানো শুরু করেছে। আমাদের এখান থেকে প্রডাক্টগুলো ভারতে সরিয়ে নিয়ে কাজ করবে। এতে বাংলাদেশে রপ্তানির সক্ষমতা কমবে। বিদেশি বড় কোম্পনির মোটিভ এ রকম। তারা যেখানে সুবিধা হয়, সেখানে চলে যাবে।
প্রশ্ন: সমস্যা থেকে উত্তরণে কি সরকারের সহায়তা বা দাবির কথা বলছেন?
উত্তর: আমরা সরকারকে বলছি, দাবি জানিয়ে যাচ্ছি। সরকার বলছে দিতে পারব না, গ্রিন এনার্জিতে যাও। আর গ্রিন এনার্জিতে রাতারাতি যাওয়া সম্ভব নয়। বড় বিনিয়োগের দরকার, সময়ের দরকার। তারপর এটা নম্ভব হবে। ব্যাংকে টাকা নেই, টাকা দেয় না। ডলার নেই এলসি সময় মতো খোলা যায় না। সোলার প্যানেল বানাতেও সময় লাগবে।
প্রশ্ন: ব্যাংক টাকা দেয় না বলছেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে তো তারল্যের সমস্যা নেই বলা হচ্ছে?
উত্তর: তারল্য আছে। তারা আগে যেভাবে ঋণ দিত, এখন সেভাবে দেয় না। এখন সহযোগিতা করছে না। কারণ প্রচুর পরিমাণ টাকা সরকার ব্যাংক খাত থেকে নিচ্ছে। কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নেই। এটা রিয়েল ফ্যাক্ট।
প্রশ্ন: এখন তো আর্থিক খাতের প্রধান আলোচনা ডলার নিয়ে!
উত্তর: ডলার সংকট তো আছেই।
প্রশ্ন: এই যে কাস্টমের কথা বলছেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন?
উত্তর: সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, নির্দিষ্ট কেস নিয়ে কথা বলেছি, তাদের দেখিয়েছি, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বিশাল বিশাল কারখানার মালিকের এই সমস্যা নিয়ে গেছি, আমার নিজের সমস্যা নিয়েও সরকারের কাছে গেছি, কোনো কাজই হয়নি। একবার বলছে, আপনারা যে ফেব্রিক্সের কথা বলছেন সেটা এটা না। বুয়েট দিয়ে পরীক্ষা করে বর্ণনা অনুযায়ী ফেব্রিক্স বলছে, কিন্তু কাস্টমের লোকজন বলছেন এটা না।
কার্যাদেশের ডকেট অনুযায়ী আমদানি করেছি, বায়ার বলছে এটা সেই ফেব্রিক্স। তোমাদের তাতে কি রে ভাই। আমি আমার চুক্তি অনুযায়ী রপ্তানি করছি। আমরা দুই পক্ষ দেখছি এটাই সেটা যেটা কার্যাদেশে ছিল, তোমরা বলছ, এটা না। আমাদের চেয়ে বেশি বুঝছো? তোমরা কি আমাদের সহযোগিতা করছো নাকি আমাদের সমস্যা করার জন্য কাস্টমসে বসে আছ?
আল্লাহ দয়ালু, আল্লাহ ভরসা। কাস্টমসে যারা এসব কাজ করে তাদের ওপর আল্লাহ প্রদত্ত একটি শাস্তি এসেছে!
প্রশ্ন: এখন আল্লাহ ভরসা!
উত্তর: এখন আল্লাহর ওপরই আমাদের ভরসা। সম্প্রতি সাংবাদিকরা যখন এনবিআর চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না। অন্য বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলতে পারতেন, যারা এমন কাজ করবে, তাদের সবাইকে ধরব, কেউ বাদ যাবে না। আমরা সেটা বলি, কোনো গার্মেন্টস মালিক খারাপ কিছু করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিই। কেউ প্রশ্ন করলে আমরা সেটা বলি। একজনের জন্য পুরো সেক্টর খারাপ হতে পারে না। এটা দেশের ব্যাপার, দেশের অর্থনীতির ব্যাপার।
প্রশ্ন: শ্রমিক কল্যাণের কথা বলছেন। শ্রমিকরা রেশনের কথা বলছে। তারা বলছে, বেতন বাড়লেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাড়তি বেতন খেয়ে ফেলছে। তাই তাদের রেশন দেওয়া হোক। যাতে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও শ্রমিকরা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। আপনারাও কোনো কোনো আলোচনায় এ কথা বলেছেন, সরকারও বলছে। রেশন কার্যকরের বিষয়টি কতদূর? আপনাদের কাছে এ সম্পর্কিত খবর আছে কি না?
উত্তর: আমরা বলছি শ্রমিকদের রেশনের ব্যবস্থা করা হোক। প্রধানমন্ত্রী একদিন নিজেই শ্রমিকদের রেশনের কথা বলেছেন। গতকাল আমরা যখন তার কাছে গিয়েছিলাম তখন তিনি এ কথা বলেছিলেন। এটা নিয়ে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছি। আমরা বেতন বাড়ালাম। কিন্তু যদি মূল্যস্ফীতি এ রকম উচ্চ থাকে তাহলে শ্রমিকরা সে সুবিধা পেল না। আমরা যদি রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে শ্রমিকরা সেই সুবিধা পাবে।
এছাড়া আমাদের অনেক কারখানাতে ন্যায্যমূল্যের দোকান আছে। আমরা মালিকদের উৎসাহী করছি সব কারখানাতে এই দোকান চালু করতে, যাতে কারখানার শ্রমিকরা ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য কিনতে পারে। রেশনিং এবং ঠিক সময়ে বেতন যাতে হয়, আমরা সব সময় শতর্ক থাকি। এ কাজটি হচ্ছে।
প্রশ্ন: শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক-মালিক-সরকার সমন্বয়ের কমিটির বরাত দিয়ে খবর বেরিয়েছিল, সব শ্রমিককে নয়, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিককে কম দামে নিত্যপণ্য দেওয়া হবে। এমন যদি হয় তাহলে তো সব শ্রমিক পাবে না। সে ক্ষেত্রে কী করবেন?
উত্তর: শুরু তো হোক। পর্যায়ক্রমে শ্রমিকরা শতভাগ যাতে পায় সে ব্যাপারে কাজ করব। এখন যেটা দরকার শ্রমিকদের রেশনিং শুরু করা দরকার। সব শ্রমিকের জন্য রেশন দরকার। আমরা সেই কথা বলেছি, এখনো বলছি।
বাংলানিউজ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শোভন ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ