ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

একদিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
একদিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার (২৪ জুলাই) খুলেছে ব্যাংক। এই বন্ধের মধ্যে এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে।

এই অবস্থায় বুধবার ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত ইসলামী ব্যাংকগুলো ধার নিয়েছে এক হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এ ঋণের সুদ ও মুনাফার হার যথাক্রমে সাতদিন মেয়াদে ৮.৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮.৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদে সুদহার ৮.৭৫ শতাংশ। এছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ।

কোন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানে কত টাকা দেওয়া হলো
বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় নয়টি ব্যাংককে দুই হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

১৮০ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড রেপো আওতায় তিনটি ব্যাংককে পাঁচ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং একদিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে তিন হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

১৪ দিন মেয়াদি ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত থেকে পুরোপুরি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে দেশে কারফিউ জারি হয়। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রবি, সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এ সময় ব্যাংক-অফিসপাড়াও বন্ধ ছিল।

এমন সময় প্রয়োজন পড়লেও ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে টাকা তুলতে পারেনি মানুষ। বুধবার কারফিউ শিথিল হলে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনা করে এ বাড়তি টাকা ধার নিলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।