ঢাকা: চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুরু থেকে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। ছিল আর্থিক খাতে টানাপড়েন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের ঋণের কমপক্ষে দুই শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ করে থাকে। সেই হিসাবে মোট ঋণ বিতরণের পাশাপাশি কৃষি ঋণের লক্ষ্য মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত আট বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করেছে আট হাজার ৯৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যা ব্যাংকগুলোর মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬৪ শতাংশ। অন্যদিকে বেসরকারি দেশি-বিদেশি ৪২ ব্যাংক বিতরণ করেছে ১১ হাজার ১২২ কোটি ২১ লাখ টাকা। যা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪৪ শতাংশ। এ হিসাবে কমেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণ, আর বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
কৃষিঋণ বিতরণে পরিমাণের পাশাপাশি সুদ হারও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যা অন্যান্য ঋণের তুলনায় কমপক্ষে এক শতাংশ কম হবে।
নির্দিষ্ট পরিমাণ কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যে ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা মোতাবেক কৃষিঋণ বিতরণে করবে না, তার অনর্জিত ঋণের নির্দিষ্ট একটি অংশের সম পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা ওই ব্যাংকের টাকা থেকে কেটে রেখে কৃষকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়।
যে সব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই, সে সব ব্যাংককে এনজিও লিংকেজের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি (এমআরএ) কর্তৃক নিবন্ধিত এনজিও-এর মাধ্যমে এ সব কৃষি ঋণ বিতরণ করে থাকে। এনজিওগুলো ব্যাংকের কাছে থেকে নির্ধারিত সুদ হারে ঋণ নিয়ে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ সুদ হারে বিতরণ করে থাকে। ব্যাংকে বিতরণ করা মোট কৃষি ঋণের এক-তৃতীয়াংশ ঋণ বিতরণ করা হয় এনজিও এর মাধ্যমে। চলতি অর্থবছরে এনজিও-এর মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।
তথ্য বলছে, জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে বিদেশি উরি ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ শুরু করেনি। অন্যদিকে মোট ঋণের ৫৮ শতাংশ বিতরণ করার লক্ষ্য থাকলেও মাত্র নয় শতাংশ বিতরণ করেছে এইচএসবিসি ব্যাংক।
দেশি বেসরকারি পদ্মা ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ শুরু করেনি। আর কম বিতরণ করেছে সিটিজেন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজাজালাল ইসলামী ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৫
জেডএ/এসআইএস