ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫ রমজান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৫
বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ  কমিশনের চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

বুধবার (০৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে বিএসইসির একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিএসইসি মূল গেট দিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।  

সাইফুর রহমানের আদেশ প্রত্যাহার ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে শোনা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

জানা গেছে, গতকাল বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে কমিশন। একইভাবে আরও কয়েকজনকে এই অবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যা নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতরে তৈরি হয় চরম ক্ষোভ।

মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে বিএসইসির কর্মচারী চাকরি বিধিমালার ৬৩ ধারা ও সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে এই দুটি আইনের মধ্যে ৬৩ ধারায় শাস্তি পাওয়া ব্যক্তির বিবেচনার আবেদনের সুযোগের কথা বলা হয়েছে। আর সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি না, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের নিয়োগ ও অবসরের নিজস্ব আইন থাকা সত্ত্বেও রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতা ব্যবহারের কথা বলেছে।

রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই গত বছরের ২২ আগস্ট সাইফুর রহমানকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে আরঅ্যান্ডডি বিভাগের দায়িত্ব দেয়। তখনই মূলত তাকে এক প্রকার ওএসডি করা হয়। তবে ৯ সেপ্টেম্বর সেই দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে সাইফুর রহমান নিয়মিত অফিসে আসছেন, কিন্তু কোনো কাজ করতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৫
এসএমএকে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।