ঢাকা: দেশের খাদ্য মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
ভারতের মেসার্স পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৩৯৪.৭৭ মার্কিন ডলার হিসাবে ৫০ হাজার টন চাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
এর আগে ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই চাল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
তার আগে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারতের মেসার্স বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই চাল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ১৪ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধা চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সে সময় ৫০ হাজার টন চালের দাম ধরা হয় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তাও পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে সময় ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
এরও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে চালের মোট চাহিদা ৩৯.৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
জিসিজি/আরবি