ঢাকা, বুধবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ মে ২০২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এনবিআর দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ, কর্মকর্তাদের কলম বিরতি

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:১৩, মে ১৩, ২০২৫
এনবিআর দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ, কর্মকর্তাদের কলম বিরতি ফাইল ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুই ভাগ করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি দিয়েছেন সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এনবিআরের অধীন কর অঞ্চল, সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন এবং ভ্যাট কমিশনারেটে তিনদিনের কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কলম বিরতির ঘোষণা দেন।

এনবিআর-এর কর্মকর্তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আগামী বুধবার (১৪ মে)  সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা ও শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি পালন করবেন। তবে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, আমদানি-রপ্তানি ও বাজেট—এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। বাকি সব কার্যক্রম কলম বিরতির আওতায় বন্ধ থাকবে।

এনবিআর ভেঙে দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করায় সংস্থাটির কর বিভাগ, কাস্টম ও শুল্ক স্টেশন থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এনবিআরের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টমস ও ভ্যাট) সাধন কুমার কুন্ডু গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার অধ্যাদেশটি জারি হয়েছে। এই সংস্কারে সরকারের কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। সংস্থা হিসেবে আমরাও জানতে পারিনি। ভালো-মন্দ কিছুই জানতে পারিনি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। আলোচনা না করে, আমাদের মতামতকে উপেক্ষা করে গত সোমবার রাতে অনেকটা গোপনীয়ভাবে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে, যা অন্যান্য অধ্যাদেশের মতো নয়। আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আগামী ১৭ মে বিকেল তিনটায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান এনবিআরের ক্ষব্ধ কর্মকর্তারা।

অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, সংস্কার নিয়ে আমাদের দ্বিমত নেই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে। একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হলো। আমরা দেখলাম, অন্যান্য সংস্কারের ক্ষেত্রে কমিটি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনের ওপর সব অংশীজন আলাপ-আলোচনা করছেন। অংশীজনদের কোনো মতামত থাকলে সরকার সেটা শুনছে, অ্যাকোমোডেট করে সরকার হয়তো বাস্তবায়নের দিকে যাবে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি। আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশ বাতিল করে প্রয়োজনীয় সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামতের ভিত্তিতে নিরীক্ষার মাধ্যমে এই সংস্কার কার্যক্রমটি সম্পন্ন করতে হবে।

জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।