বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টার্টআপ তহবিল থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকছে না। এখন ২১ থেকে যেকোনো বয়সের স্টার্টআপ উদ্যোক্তা এই ফান্ড থেকে অর্থায়ন নিতে পারবেন।
বুধবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্টার্টআপ উদ্যোগ নিয়ে কার্যরত বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান এ অর্থায়ন সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের কার্যকাল নিবন্ধনের সময় হতে ১২ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
পূর্বে তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক তাদের স্টার্টআপ ফান্ড থেকে শুধু ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ ছিল। নতুন সার্কুলার মোতাবেক স্টার্টআপ উদ্যোগের অনুকূলে ঋণ বা বিনিয়োগের পাশাপাশি ইক্যুইটি সুবিধা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের গঠিত নিজস্ব ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে স্টার্টআপ উদ্যোগগুলোতে শুধু ইক্যুইটি বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইক্যুইটি হিসেবে আর্থিক বিনিয়োগ সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেবে। এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানে তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক তাদের স্টার্টআপ ফান্ডে রক্ষিত সমুদয় অর্থ ইক্যুইটি হিসেবে বিনিয়োগ হবে, যা ব্যাংকগুলোর আর্থিক বিবরণীতে ইক্যুইটি বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের অনুকূলে ঋণ বা বিনিয়োগ করতে ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব ঋণ বা বিনিয়োগযোগ্য তহবিল ব্যবহার করতে হবে। ফাইন্যান্স কোম্পানিও তাদের নিজস্ব ঋণ বা বিনিয়োগযোগ্য তহবিল থেকে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের অনুকূলে ঋণ বা বিনিয়োগ করতে পারবে।
ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিসমূহ স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত ৫০০ কোটি টাকার ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ তহবিল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে।
আলোচ্য সার্কুলার জারির পর থেকে ব্যাংকের নিজস্ব ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের নতুন করে কোনো ঋণ বা বিনিয়োগ করা যাবে না। তবে, ইতোমধ্যে মঞ্জুরিকৃত ঋণ বা বিনিয়োগগুলোর অর্থ ছাড় করা যাবে।
স্টার্টআপ খাতে উদ্যোক্তাদের অনুকূলে পুনঃঅর্থায়ন ও ইক্যুইটি বিতরণের লক্ষ্যে উদ্যোগের কার্যকালের ভিত্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেণিতে পর্যায়ভিত্তিক ঋণসীমা ২ কোটি হতে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে; পূর্বে যা এক কোটি টাকা ছিল।
গ্রাহক পর্যায়ে মেয়াদী ও চলতি মূলধন ঋণ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আরোপযোগ্য হবে।
ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রাহক পর্যায়ে ছাড় করার ক্ষেত্রে অশ্রেণিকৃত ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে ০.৫০ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করবে।
জেডএ/এমজেএফ