ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখন প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা: গভর্নর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৪, জুলাই ৩১, ২০২৫
এখন প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা: গভর্নর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। সে জন্য বেসরকারি খাতের পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে আপাতত নজর দিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসা, সেটা করছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য এ মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আসেনি। আমাদের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা। এটি কমে গত জুনে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে হয়েছে। বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় তা কমছে। চাল ছাড়া সব পণ্যের দর স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, চাল আমদানির জন্য টাকার অভাব হবে না। আমরা দিতে পারবো। সরকারও আরও চাল আমদানির জন্য পরামর্শ দিয়েছে। নতুন মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপাতত প্রধান নীতি সুদহার (রেপো) ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। মূলত ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ধক রেখে রেপোর বিপরীতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেয়।

অন্যদিকে নতুন মুদ্রানীতিতে আন্তব্যাংক ধার বা কলমানি নেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি সুদহার স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকছে। আর স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৮ শতাংশই রয়েছে। ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে টাকা রাখার ক্ষেত্রে এ সুদহার প্রযোজ্য হয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে আগামী বছরের জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বলেও জানান গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন যে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, এটা যথেষ্ট। এর মধ্যে কোনো ভেজাল নেই। আগামী বছর সাড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলেই নীতি সুদহার কমানো হবে। নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বরে ৭ দশমিক ২ এবং জুনে ৮ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতে গত জুনে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

মুদ্রানীতি তুলে ধরেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক এজাজুল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জেডএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।