ঢাকা, সোমবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৬ সফর ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

পণ্যের বৈচিত্র্য আনার তাগিদ বাণিজ্য উপদেষ্টার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:১৯, আগস্ট ১১, ২০২৫
পণ্যের বৈচিত্র্য আনার তাগিদ বাণিজ্য উপদেষ্টার  বিটিএমএ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন | ছবি: জিএম মুজিবুর

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দেশের বাণিজ্য খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে গতানুগতিক ব্যবসা ছেড়ে পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে হবে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে এবং খরচ কমাতে হবে।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার এখনই সময়, কারণ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীরব থাকার কোনো সুযোগ নেই।

রোববার (১০ আগস্ট) রাতে গুলশান ক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় দেশের স্বার্থই ছিল মূল লক্ষ্য, এমন মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে মোট ৪৭টি ধাপে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার প্রতিটি ধাপে দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আলোচনা চলাকালীন সময়ে অনেক চাপ ছিল, অনেকেই লবিস্ট নিয়োগের কথা বলছিলেন, কিন্তু আমরা আলোচনার মাধ্যমেই আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। এর ফলস্বরূপ আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এক বছরের মধ্যে ৭৫ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, তারা যে ধরনের টেকসই বাণিজ্যে আগ্রহী, সেখানে আমাদের প্রস্তাবগুলো হয়তো খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি।

বাণিজ্য সহজীকরণ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার এখন বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য কাজ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘ফ্রি ট্রেড ওয়ারহাউস’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে এবং আমদানি নীতি নিয়ে কাজ করছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে কাঠামোগত সরলীকরণ এবং উদারীকরণ নিশ্চিত করা হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা দেশের অর্থনীতির সামনে থাকা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে বলেন, শুধুমাত্র গতানুগতিক পণ্য রপ্তানি না করে নতুন নতুন পণ্যের বাজার তৈরি করতে হবে। শ্রমিকদের দক্ষতা এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং লজিস্টিক খরচ কমাতে হবে। পাশাপাশি বন্দরের খরচ না বাড়িয়ে বরং এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে লজিস্টিক খরচ কমানো সম্ভব।

শেখ বশিরউদ্দীন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য দূর করার ওপরও জোর দিয়ে বলেন, সমাজে অল্প কিছু অতি ধনী মানুষ তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য হতে পারে না। সম্পদের সুষম বণ্টন না হলে সমাজ টিকবে না এবং এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এখনো শেষ হয়নি এবং প্রয়োজন হলে আবারও সেখানে যাব। তবে দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং এর জন্য এখনই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।