ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

যে ডলার আছে সেটা দেশের আপদকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৪, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫
যে ডলার আছে সেটা দেশের আপদকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বর্তমানে আমাদের কাছে যে ডলার আছে সেটা দেশের আপদকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

 

ডলারের ডিমান্ড তো কমে যাচ্ছে, সে হিসাবে ডলারের দামও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিয়েছে দামটাকে একই পর্যায়ে রাখার জন্য, যা আমাদের আমদানিকারকদের জন্য চাপ হয়েছে যাচ্ছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম কিছুটা যদি স্থিতিশীল না রাখি তাহলে খারাপ প্রভাব পড়বে। যারা রেমিট করে তাদের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ ওরাইতো আমাদের চালিকা শক্তি।

তিনি বলেন, আমরা ডলার কিনছি সেটা ঠিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ডলার আছে সেটা দেশের আপদকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না। ধরেন দেশে বড় ধরনের কোনো একটা কিছু হলো। তখন দ্রুত যদি কিছু আনতে হয়, তখন কী হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ শুধু আমদানির জন্য ব্যবহার করা হয়, সেটা আপনাদের ভুল ধারণা। তাই সেভ কিছু না থাকলে বিপদ হবে।  

এটা আমি টের পেয়েছি যখন আমি ২০০৭/২০০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম তখন। সে সময় সিডর, আইলা হলো তখন অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক সে সময় আমরা সেটা সামাল দিয়েছিলাম। সুতরাং এসবের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করছে। রিজার্ভটা বিল্ডআপ করা দরকার।  

সম্প্রতি পিপিআরসি বলে বর্তমানে জিনিসপত্রের দামের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষ অস্বস্তিতে আছে, সে বিষয়ে আপনি কী বলবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পিপিআরসির প্রতিবেদন আমি দেখেছি।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে কিছু বৈচিত্র্য ছিল। আমরা সার, কিছু খাদ্য পণ্য আমদানি করি। কিন্তু এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন চট্টগ্রামের শাহআমানত বিমান বন্দরটাকে আপগ্রেড করার জন্য সেখানকার রানওয়ে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিমান বন্দরের কন্ট্রোলরুম আরো আধুনিকায়ন করার জন্য একটা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এ ছাড়া অকটেন আনার অনুমোদন দিয়েছি।  বর্তমানে অকটেনের কিছুটা ঘাটতি আছে। দেশের অভ্যন্তরে অকটেনের চাহিদা আছে। তাই আমরা চাই না যে দেশে কোনো রকমের জ্বালানির সংকট হোক।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরের মান উন্নয়নে কী করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েটা গ্রেড ওয়ান। সেটার স্পেস বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে বড় বিমান ওঠা-নামা করতে হলে রানওয়েটা গ্রেড-২ তে উন্নীত করতে হবে। একইসঙ্গে ঢাকার কন্ট্রোলটা আরো আধুনিক করা হবে।  

জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।